May 2024

বিজেপির গ্যারান্টি বাঙালীদের আতঙ্ক বাড়াচ্ছে

পূর্ব ও উঃপূর্বাঞ্চলের বাঙালীরা নিজের ভূমিতে বাস করেও নাগরিকত্বহীনের আতঙ্কে ভুগছে৷ সেই আতঙ্ক আরও বাড়াচ্ছে বিজেপির গ্যারান্টি, বলা ভালো মোদির গ্যারান্টি৷ ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে অসমে নরেন্দ্রমোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডিটেনশন ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেবে বিজেপি সরকারে এলে৷ কিন্তু কেন্দ্রে ও রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর এশিয়ার বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরী করেছে বিজেপি সরকার অসমের গোয়ালপাড়ায়৷ এবার পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে এসে অমিত শাহ বলছেন ঘরে ঘরে গিয়ে নাগরিকত্ব দেবে৷ অসমে বিজেপি প্রচার করছে ডি-ভোটার সমস্যার সমাধান করবে এবারের বিজেপি সরকার নির্বাচনের পর৷

অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের দাবী নিয়ে নির্বাচনে আমরা বাঙালী

ইতোমধ্যে রাজ্যে ৪দফা লোকসভা নির্বাচন পর্ব মিটেছে৷ রাজনৈতিক গণতন্ত্রের মোহ মানুষকে ভুলিয়ে দিয়েছে প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ৷ ‘আমরা বাঙালী’ ছাত্রযুব নেতা তপোময় বিশ্বাস বলেন বাঙলাতে ‘অর্থনৈতিক গণতন্ত্রে’র বাস্তবায়নের ও শোষণমুক্ত বাঙালীদের মাতৃভূমি সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল বাঙালীস্তান গঠনের দাবীতে ‘আমরা বাঙালী’ লোকসভা নির্বাচনে সাধ্য মতন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে৷

প্রত্যেক নাগরিককে স্বনির্ভর করাই হল গণতন্ত্রের লক্ষ্য

প্রভাত খাঁ

অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে৷ সাত দফা নির্বাচনের ইতোমধ্যে চার দফা শেষ হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গেও শান্তিতে চার দফার ভোট শেষ হয়েছে৷ কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে পরস্পরের প্রতি অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ছাড়া জনগণের জীবন যাপনের মান উন্নয়নের কোন বার্র্ত নেই৷ তাই এই আলোচনার বিষয় একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের লক্ষ্য কি হবে৷ বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম যে ভাবে বাড়ছে তাকে সামাল দিতে দারিদ্র্য সীমার নীচে যারা বাস করছে আর নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজের যে দারুণ অর্থনৈতিক দুরবস্থা তাকে মানিয়ে নিয়ে দিন যাপন করাটা দিন দিন অসহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে সেদিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে মূলতঃ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে ও সমাজের সহানু

মানুষের ইষ্ট পরমপুরুষ

গতকাল রাতে বলেছিলাম–মন যাঁর ভাবনা নিতে পারে না ও মনের ভাববার যে শক্তি আছে, সেই শক্তি যাঁর থেকে আসে, তিনিই হচ্ছেন পরমপুরুষ৷ এইজন্যে পরমপুরুষের কাছে লুকোনো কিছু নেই৷ এই যে মন, তা আসলে কী জিনিস পরমপুরুষের মৌলিক সত্তা যখন ঘনীভূত হয়ে যায়, তাতে জড়জগৎ–প্রপঞ্চের্ উৎপত্তি হয়ে থাকে৷ আর সেই প্রপঞ্চ যখন পরমপুরুষের আকর্ষণে তাঁর দিকে চলা শুরু করে দেয়, তখন অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের কারণে জড়সত্তা চূর্ণীভূত হয়ে মনে রূপান্তরিত হয়ে থাকে৷ যেখানে মনের বিকাশ নেই সেখানে আমরা পাই গাছপালা, জীবজন্তু৷ আর যেখানে মনের অধিক বিকাশ হয়েছে, সেখানে আমরা পাই মানুষকে৷

নূ্যনতম প্রয়োজন ও সর্বাধিক সুখ–সুবিধা

আমাদের এই সমাজের অসংখ্য আকর্ষণ, আর সেই আকর্ষণে আকর্ষিত হওয়াই মানুষের স্বভাব৷ মানুষের এই স্বভাবকে প্রশ্রয় দিয়ে কম্যুনিজম সবাইকে সমান সম্পদ দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷ কিন্তু এই বিশ্বের জাগতিক সম্পদ সীমিত৷ তাই সকলকে কি সম পরিমাণ সম্পদ দেওয়া সম্ভব সম্ভব নয়৷ আর শুধু তাই নয়, সেই প্রচেষ্টাও আপাতদৃষ্টিতে মনোরঞ্জক এক ভণ্ডামি৷ এখন কম্যুনিজম মৃত্যুশয্যায়৷ কম্যুনিজম ছিল এক ‘ইজম্’ (মতবাদ)–বাগাড়ম্বরপূর্ণ ভাষার ফুলঝুরি৷

আনন্দপূর্ণিমা নবজাগরণের দিন হোক

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আগামী ২৩শে মে, বৈশাখী পূর্ণিমা, প্রাউট–প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার, যিনি ধর্মগুরু মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নামে বিশ্ববাসীর কাছে সমধিক পরিচিত–তাঁর শুভ ১০৩ তম আবির্ভাব তিথি৷ সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীদের কাছে এই বৈশাখী পূর্ণিমা আনন্দপূর্ণিমা রূপে পরিচিত৷ এই পুণ্য তিথিতে মহাসমারোহে সর্বত্র মার্গগুরুদেবের ১০৩ তম জন্ম জয়ন্তী পালন করা হবে৷ এ বছর শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে মার্গের দর্শন ও আদর্শের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে৷

‘ছাত্রী’ শব্দটি ভুল, হবে ‘ছাত্রা’

‘ছদ্’ ধাতুর অর্থ আচ্ছাদন দেওয়া৷ যে বস্তু আচ্ছাদন দেয় তা–ই ‘ছত্র’৷ গুরুর ছত্রছায়ায় যে আশ্রিত তাকে ছত্র অণ করে ‘ছাত্র’ বলা হয়৷ ‘ছাত্র’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গে দু’টি রূপ রয়েছে–‘ছাত্রী’ ও ‘ছাত্রা’৷ ‘ছাত্রী’ মানে ‘ছাত্রের পত্নী’৷ তিনি নিজে পড়ুয়া হতেও পারেন, নাও হতে পারেন৷ ‘ছাত্রা’ মানে যিনি নিজে পড়ুয়া কিন্তু তিনি কারও স্ত্রী হতেও পারেন, নাও পারেন৷          (সূত্র ঃ ‘প্রভাতরঞ্জনের ব্যাকরণ বিজ্ঞান’)

 

সোস্যাল মিডিয়া নোতুন পৃথিবীর স্বপ্ণ দেখাক

কণিকা দেবনাথ

 প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া নামক একটি নোতুন জগতের সাথে আমাদের পরিচিতি ঘটেছে৷ একবিংশ শতাব্দীর সূচনা লগ্ণ থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার পথ চলা শুরু৷ বর্তমান সময়ে এর প্রভাব ও বিস্তার উপেক্ষা করার মতো নয়৷ আট থেকে আশি সকলের কাছেই সমাদর লাভ করেছে সোস্যার মিডিয়া পরিবারের সদস্যবৃন্দ যেমন--- ফেসবুক, হোয়াটস আপ, টুইট্যার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি ইত্যাদি৷

লক্ষ কোটি মানুষের মেল বন্ধন ঘটেছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে৷ আঙুলের স্পর্শে ভৌগোলিক দূরত্ব মুছে যাচ্ছে, দেশ-মহাদেশ -মহাসাগর অতিক্রম করে মানুষ মিশে যাচ্ছে, একাকার হয়ে যাচ্ছে স্থান-কাল-পাত্র উপেক্ষা করে৷

গণিত চর্চায় মহর্ষি কপিল

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

আজকে প্রবন্ধের বিষয় হ’ল মহর্ষি কপিলকে নিয়ে৷ মহাভারতের শ্রীকৃষ্ণের যুগের সমসাময়িক মানুষ ছিলেন মহর্ষি কপিল৷ যে সময়ে মহর্ষি কপিল জন্মে ছিলেন, সে সময় ছিল আধ্যাত্মিক শিক্ষা, ছিল পুস্তক কিন্তু ছিল না কোন সুসঙ্কলিত দর্শন৷ ঠিক এমনি এক সময়ে সর্বপ্রথম মহর্ষি কপিলই সুসঙ্কলিত দর্শন রচনা করে মানব সমাজকে উপহার দিয়েছিলেন৷ পৃথিবীর প্রথম দর্শন সৃষ্টি হয়েছিল এই ভারতবর্ষের মাটিতেই৷ পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম দর্শন হ’ল মহর্ষি কপিলের দর্শন৷

রাতের আকাশে রহস্যময় লাল আলো দেখা গেল লাদাখের এক গ্রামে

গত শুক্রবার রাতে লাদাখের প্রান্তবর্তী গ্রাম হ্যানলের আকাশ লাল আলোয় ঢেকে যায়৷ সেই সময় যাঁরা ওই গ্রামে ছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ সমাজমাধ্যমে সেই ছবি পোস্ট করেন৷