December 2024

ছিলে আছো থাকবে তুমি

পত্রিকা প্রিতিনিধি

তোমারই সৃষ্ট জগতে তোমারি বাঁধা নিয়মে কত কিছুই যায় আসে৷ যে সূর্য অস্ত গেল একটু আগে, সেই সূর্য আবার কাল সকালে উদয় হবে৷ এইভাবে দিন যায় রাত আসে, রাতের পর আবার দিন আসে৷ এই যে শরৎ আর কটা দিন পরে বিদায় নেবে এও আবার ফিরে আসবে আর একটা বর্ষা পার করে৷

আসুরী শক্তি করো খর্ব

স্নেহময় দত্ত

বর্ষার জল ভরা মেঘের বিদায়, নীল অম্বর মাঝে শুভ্র মেঘের নিরুদ্দেশে ভেসে চলা, ধরার বক্ষে শ্যামের প্লাবন, ভোরের বাতাসে হিমেল ভাব আর শিউলির সুবাস, শিশিরসিক্ত শ্যামল তৃণরাজি বনে বনে কুশ-কাশের সমারোহ---আনে নতুন এক আমেজ৷ প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র্যের এই কালিক পরিবর্তনই বুঝিয়ে দেয় শরৎ এসেছে৷ প্রকৃতির এই পরিবর্তন মানুষের হৃদয়েও আনে পরিবর্তন---আনে আনন্দের জোয়ার---উৎসবের মেজাজ৷ ঋষি প্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর রচিত ও সুরারোপিত প্রভাত সঙ্গীতে শরৎ ঋতুর বর্ণনায় বলেছেন---

‘‘শরৎ তোমার সুরের মায়ায় আকাশ-বাতাস মাতালো৷

দূর নীলিমার সুধারাশি ধরার জীবন রাঙালো৷৷’’

আরো একটি গানে বলেছেন,

মানুষের সাংবিধানিক অধিকার

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরেও একটি স্বাধীন দেশের মানুষ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারলো না৷ ধনকুবেরদের শোষণে জর্জরিত ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের দমন-পীড়নে স্বাধীন দেশের নাগরিক সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও অর্জন করতে পারলো না৷

সীমাহীন অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক বিভাজন ও রাজনৈতিক সংঘাতে প্রতিনিয়ত পদদলিত হচ্ছে মানুষের মৌলিক অধিকার৷ পরিতাপের বিষয় এই যে শাসক দলের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদতে এগুলি হয়ে চলেছে৷ অথচ শাসক দলেরই প্রধান দায়িত্ব সংবিধানের অঙ্গীকারগুলি পালন করা৷ মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করা৷

শারদীয়া উৎসব সম্পর্কে দু’চার কথা

প্রভাত খাঁ

শারদীয় উৎসব বা দুর্গোাৎসব হলো বাঙালী জনগোষ্ঠীর জাতীয় উৎসব৷ এই উৎসবে ধনীদরিদ্র নির্বিশেষে এমন কি সকল সম্প্রদায়ের লোকজন মিলিত ভাবেই এই উৎসবে অংশ গ্রহণ করে থাকে৷ তাই এই চারদিনের জন্য সকলেই ব্যাকুল ভাবে অপেক্ষা করে থাকে৷ সমাজের কেউই এই উৎসব থেকে অবহেলিত হয় না৷ এই যে শরৎকালীন উৎসব এটার মধ্যে রয়ে গেছে বাঙালী জনগোষ্ঠীর এক মিলনের সুর৷ যে যেখানেই থাকুক না কেন বাঙালী ঘরমুখো হয়ে বাড়িতে এসে আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে আনন্দে মাতে৷ একই চালচিত্রে আমরা দেখি জগৎজননী স্বরূপিনী মাদূর্গার সঙ্গে আছেন লক্ষ্মী সম্পদের দেবী, সরস্বতী বিদ্যাও জ্ঞানের দেবী আর গণপতি গণেশ ও দেবসেনাপতি কার্ত্তিক৷ আর আছেন মহিষাসুর, এবং দেবাত্মন

রঘুনাথবাড়ি আনন্দমার্গ স্কুল

শ্রীসুভাষপ্রকাশ পাল

আশির দশকে শীতের মরশুমে আনন্দনগরে আনন্দমার্গ হাইস্কুলে পাঠরত পুত্রকে দেখতে গিয়েছি, প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সেরে বাড়ি ফেরার পালা, হোষ্টেলে সন্ধ্যার আহার সেরে দ্রুত পা চালিয়ে এসে হাওড়াগামী হাতিয়া প্যাসেঞ্জার ধরলাম৷ আরও কিছু যাত্রী ওই ট্রেনে উঠলেন, ট্রেন কিছুটা যাওয়ার পর সবে তন্দ্রা ধরেছে, হঠাৎ কানে এল---জানেন!

দুর্নীতি দূরীকরণে সমাজের নীতিবাদীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী

সায়ন চক্রবর্ত্তী

ঈশ্বরের এই বিশাল জগতে মানুষই সর্বশ্রেষ্ঠ জীব৷ অন্যান্য সব জীবেদের সঙ্গে মানুষের তুলনা করা না গেলেও অন্যদের ঈশ্বর পূর্ণাঙ্গ রূপে নিখুঁত ভাবে সৃষ্টি করেছেন কিন্তু মানুষকে নিখুঁত ভাবে সৃষ্টি না করে পূর্ণ হওয়ার শক্তি ও সম্ভাবনা দিয়েছেন মাত্র৷ সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একদিকে মানুষ নিজেকে দেবতারূপেও গড়ে তুলতে পারে আবার সামর্থ্যকে অপব্যবহার করে ভয়ানক শয়তানেও পরিণত হয়ে যেতে পারে৷

শিশুদের সর্দি–কাশিতে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে অভিভাবকদের করণীয়

ডাঃ আলমগী

শীত চলে যাচ্ছে, বসন্ত ঋতু আসছে৷ ঋতু পরিবর্ত্তনের সময়৷ কখনও ঠাণ্ডা কখনও গরম৷ বিশেষ করে দিনে সূর্যে তাপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের তাপ বেশ বৃদ্ধি পায়৷ কিন্তু, সন্ধ্যা হতে আবার সবকিছু ঠাণ্ডা হতে থাকে৷ বিশেষ করে ভোর রাতে বেশ ঠাণ্ডা অনুভূত হয়৷ এই রকম ঠাণ্ডা–গরম আবহাওয়ায় শিশুরা সহজেই সর্দি–কাশিতে আক্রান্ত হতে পারে৷ তাই এই সময় শিশুদের সুস্থ রাখতে বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার৷ এবিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকাও প্রায়োজন৷ সুতরাং এই ধরনের আবহাওয়ায় শিশুদের কি কি অসুবিধা হতে পারে ও সর্দি–কাশিতে আক্রান্ত হলে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে তা অভিভাবকদের জানা দরকার৷

নবজাতকদের জন্যে বাড়তি সর্তকতা

পত্রিকা প্রতিনিধি

নবজাতকের জন্যে বাড়তি সর্তকতার প্রয়োজন৷ এমনিতে নবজাতকের জন্যে অনেক আয়োজন থাকে৷ সে থাকলেও তার জন্যে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন৷ প্রথমতঃ নবজাতককে নিয়ে বাইরে বেশী ঘোরাঘুরি করা উচিত নয়৷ এই ঋতু পরিবর্তনের সময় বেশী ঘোরাঘুরি করলে নবজাতক ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হতে পারে৷ তা থেকে নিউমোনিয়া পর্যন্ত হতে পারে৷ তাই নবজাতকের জন্যে কি ধরনের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন সে সম্বন্ধে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যা বলে থাকেন সে সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করা হ’ল–

জীবনের জন্যে বৃক্ষায়ন জরুরী

পত্রিকা প্রতিনিধি

ইতিহাসের শুরু থেকেই জীবজগতে গাছ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে৷ বিশ্বের অধিকাংশ প্রজাতির প্রাণীর জন্যে গাছ খাদ্য যোগাচ্ছে, এদেরকে আশ্রয় ও ছায়া দিচ্ছে৷ বর্তমান বিশ্বে প্রায় ১০ মিলিয়ন জাতের গাছ রয়েছে৷ স্থলে ও জলে সর্বত্রই এরা গজিয়ে উঠছে, বংশবিস্তার করছে৷ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় এদের অবস্থান সীমাহীন৷ গাছবিহীন পরিবেশে জীবন প্রায় অসম্ভব, দুর্বিষহ৷ গাছ আবহাওয়াকে বিশুদ্ধ রাখে, শান্ত রাখে৷ দিনের বেলা গাছ আলোক সংশ্লেষণ করে৷ তখন যারা কার্বন–ডাই–ক্সাইড প্রতিনিয়ত নির্গত করে বাতাসকে দুষিত করছে, তার অধিকাংশই গ্রহণ করছে গাছপালা৷ এর পরিবর্তে মানুষের অতি প্রয়োজনীয় অক্সিজেন নির্গত করছে গাছ৷ তাতে নির