June 2025

আমার প্রাণের প্রাণ

আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত

১৯৬৩ সালের মাঝামাঝি সময়ের এক সন্ধ্যার কথা৷ পরমপূজ্য শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি যাঁকে তাঁর শিষ্যরা ৰাৰা বলে ডাকেন ---তিনি জামালপুর শহরের বাইরে একটি নির্জন মাঠে একটি কবরের ওপর বসেছিলেন৷

এই জায়গায় প্রায় প্রতি সন্ধ্যায় তিনি সান্ধ্যভ্রমণে আসতেন---বেশ কিছু শিষ্যও সান্ধ্যভ্রমণে তাঁর সঙ্গী হতেন ---বাঘের কবরের ওপর বসে নানান বিষয়ে আলোচনা হত৷

সাম্প্রদায়িক শক্তি ও পুঁজিবাদী আগ্রাসনের মুখে দেশ

মনোজ দেব

যুদ্ধবাজ ধর্মান্ধরা উন্মাদের মত আচরণ করছে৷ সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত সেনাকেও ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করছে একদল ভণ্ড ধর্মান্ধের দল৷ আসলে ভারত পাক যুদ্ধ নিয়ে এই ধর্মান্ধরা এতটাই মিথ্যাচারে মেতে ছিল স্যোস্যাল মিডিয়ায় যে হঠাৎ যুদ্ধ বন্ধে মিথ্যার বেলুন চুপসে যায়৷ এখন কাছের লোকের কাছেও মুখ দেখাতে লজ্জা পাচ্ছে৷ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের নিকেশ করতে সেনাবাহিনী যখন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে সন্ত্রাসীদের ওপর আঘাত হানছে সেই সময় দেশের ঐক্য যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তার দৃষ্টান্ত রাখতে সেনাবাহিনীর দুই ভিন্ন ধর্মমতের সেনানীকে মিডিয়ার সামনে দাঁড় করিয়ে বার্তা দিয়েছে৷ সাম্প্রদায়িকতার বিষে এতট

আক্রান্ত বাঙালী

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

রাজ্যে রাজ্যে আক্রান্ত বাঙালীরা৷ স্বাধীন ভারতে বাঙালীর ওপর আঘাত এই প্রথম নয়, বরং বলা যায় স্বাধীন ভারতের জন্মলগ্ণ থেকেই ভারতে বাঙালীদের প্রতি দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের মতো  আচরণ করা হচ্ছে৷ নেহেরু আমলে অসম ব্যতীত অন্য কোথাও দৈহিক আক্রমন না হলেও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাঙালীকে পঙ্গু করার চক্রান্ত ১৯৪৭ সালের মধ্যরাত থেকেই শুরু হয়েছে নেহেরুর হাত ধরেই৷ পরিতাপের বিষয় নেহেরুর বিশেষ বন্ধু বিধানচন্দ্র রায় মুখ্যমন্ত্রী থেকেও বাঙলার প্রতি দিল্লির বৈষম্যমূলক আচরণের কোন প্রতিবাদ করেননি তৎকালীন খ্যাতনামা সাংবাদিক রঞ্জিত রায় লিখলেন--- বিধান রায়ের আমল থেকেই বাঙলার অধঃপতনের শুরু৷ রঞ্জিত রায় সম্ভবত প্রথম সাংবাদিক

জঙ্গী তৈরী করতে করতে আজ পাকিস্তান জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে

প্রভাত খাঁ

মানুষ এগিয়ে চলেছে বিশ্বের বুকে৷ দুটি বিশ্বযুদ্ধ এমনভাবে পৃথিবীর মূল্যবান মানুষ ও সম্পদকে ধবংস করে গেছে তা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়৷ তার জন্যই পৃথিবীর রণক্লান্ত শাসকগণই যাতে পৃথিবীতে আর মারাত্মক যুদ্ধ না তারজন্যই রাষ্ট্রসংঘ ঘটন করেন৷ তাঁর সদস্য সংখ্যা পৃথিবীর সবকটি প্রায় ১৮৫টি রাষ্ট্র৷ তার একজন হলো পাকিস্তান৷ সেই পাকিস্তান এর সৈন্য বিভাগ আছে তার উপর এই ছোট্ট গোঁড়া ইসলামিক রাষ্ট্রটা মাদ্রাসায় সেই কচিকাঁচা পড়ুয়াদের জঙ্গী শিক্ষা দিয়ে রাষ্ট্রের হয়ে ডিফেন্স শক্তিকে উৎসাহিত করে আর যারা সেই চরম নিষ্ঠুর দানব হয়ে ভারতের বুকে কশ্মীরে নিরীহ পর্যটকদের মাথার সিঁদুর দেখে মহিলা তাঁদের স্বামীদের হত্যা করে এক

নীতিহীন রাজনীতির সুযোগ নিয়ে ফ্যাসিষ্ট শোষকরা শাসকের মাথায় চেপে বসেছে

প্রবীর সরকার

ভারতের আয়তন বেশ বড়ো৷ এখানে নানা ভাষা-ভাষী ও ধর্মমতের মানুষ বাস করেন৷ তারমধ্যে ভারতের সুপ্রাচীন কাল থেকে যাঁরা বাস করছেন তাঁরা আছেন, আর আছেন দেশের বাহির থেকে আসা   বিভিন্ন ধর্মমতের  বাসিন্দারা ও তাঁদের বংশোধর গণ৷ যাঁরা  সুপ্রাচীন কাল থেকে বাস করছেন তাঁরা সেই প্রাচীন কালের ধর্মকেই অর্র্থৎ সনাতন ধর্মের বার্র্ত্তবহ৷ সেই ধর্মই হলো আধ্যাত্মিক ধর্ম৷ যেটি সব মানুষের ধর্ম৷ কারণ মানব সমাজ হলো এক ও অবিভাজ্য৷ দেশ কাল  পাত্রের আপেক্ষিক জগতে যে আপাত দৃষ্টিতে পার্থক্য দেখা যায় সেটা বাহ্যিক৷ কিন্তু মূলতঃ সকল মানুষের চাওয়া পাওয়াটি একই৷  এমন কোন মানুষ কী আছেন এই পৃথিবী গ্রহে যিনি আনন্দ পেতে চান না!

রবীন্দ্রনাথ, ঊনিশে মে ও বাংলাভাষা

সুকুমার সরকার

বঙ্গভঙ্গ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভীষণভাবে পীড়া দিয়েছিল৷ তাই বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে সকল বাঙালীকে একত্রিত করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রচলন করেছিলেন ‘রাখি বন্ধন’ উৎসবের৷ যা আজও পালিত হয়ে থাকে৷ তবে কালক্রমে বঙ্গভঙ্গ কিন্তু হয়েই গেছে৷ সেই ভাঙ্গা বাংলার গানও লিখে গেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷

               ‘‘মমতাবিহীন কালস্রোতে

               বাংলার রাষ্ট্রসীমা হতে

               নির্বাসিতা তুমি

               সুন্দরী শ্রীভূমি–’’

রাধানাথ শিকদার

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

আজ তোমরা প্রায় সকলেই জান পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ গিরিশৃঙ্গ হিমালয়ের মাউন্ট এভারেস্ট৷ তার উচ্চতা ২৯০০২ ফুট৷ অর্থাৎ প্রায় সাড়ে পাঁচ মাইল৷ তেনজিং-এর এভারেষ্ট জয়ের আগেই তার উচ্চতা নির্ধারিত হয়ে গেছে৷ তোমরা হয়তো আশ্চর্য হচ্ছো এই  ভেবে যে এভারেষ্টে না উঠে কি করে তার উচ্চতা নির্ণীত হলো৷ গৌরবের বিষয় যে, এই দুঃসাধ্য কাজটি করেছিলেন একজন বাঙালী--- নাম রাধানাথ শিকদার৷

কোলকাতার জোড়াসাঁকোর শিকদার পাড়ায় তাঁর জন্ম হয় ১৮১৩ সালের অক্টোবর মাসে৷ তাঁর পিতার নাম তিতুরাম শিকদার৷তিনি ছিলেন উচ্চশিক্ষিত ও খ্যাতিমান লোক৷

ঊণিশের আহ্বান

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

এসো সদা সচেতন বাংলা ভাষী যত নরনারী

আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা বাঙলা মায়ের সন্তান

হাতে রাখো হাত, মান-অভিমান ছাড়ি,

ওই শোন, অমর ঊণিশের দৃপ্ত আহ্বান

বাঁচাতে বাঙালীর মর্যাদা, বাংলা ভাষার সম্মান৷

বেইমান, শয়তান, হীনচক্রী হেনেছে আঘাত

বাঙলার বুকে, ঐতিহ্য-সংস্কৃতি দিয়েছে নির্বাসন

ঢাকা-শিলচরে বাঙালীর গর্বিত প্রতিবাদ

পুলিশ-দুর্বৃত্তের গুলিবর্ষণে সঁপেছে জীবন

বাঁচাতে বাঙালীর মর্যাদা, বাংলা ভাষার সম্মান৷

ঢাকার একুশে ফেব্রুয়ারী, শিলচরের ঊণিশে মে

বঙ্গভাষা-সংগ্রামের ইতিহাস মিলে-মিশে একাকার

বাঙালীর কণ্ঠরোধে শাসকের

বৈশাখী পূর্ণিমায় বিশ্বের ১৮২টি দেশে পালিত হল শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্ম তিথি উৎসব

গত ১২ইমে আনন্দপূর্ণিমা তিথিতে (বৈশাখী পূর্ণিমা) বিশ্বের ১৮২টি দেশে আনন্দমার্গের সমস্ত ইয়ূনিট ও শাখা প্রতিষ্ঠানে মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ১০৫তম শুভ জন্মতিথি উৎসব মহাসমারোহে পালিত হ’ল৷ আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় ধর্মপ্রচার সচিব আচার্য বিশুদ্ধাত্মানন্দ অবধূত এই সংবাদ জানান৷ কলিকাতাস্থিত আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমেও এদিন মহা ধূমধাম সহকারে মার্গগুরুদেবের জন্মতিথি উৎসব পালিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে আগের দিন অর্থাৎ ১১ই মে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ মহামন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন শুরু হয়৷ ১২ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তনের পর সকাল ৬টা ৭মিনিটে মার্গগুরুদেবের শুভ জন্মক্ষণে শঙ্খধবনি, ঊলুধবনি সহ

বাঙলার আর্থিক দুরাবস্থার কারণ বহিরাগতদের শোষণ

আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাশ এক আলোচনায় বলেন--- এত সম্পদশালী হওয়া সত্ত্বেও বাঙলার এই দুরাবস্থার মূল কারণ বহিরাগত ফ্যাসিষ্ট পুঁজিপতিদের শোষণ৷ বাঙলা আজ দেশীয় পুঁজিপতিদের উপনিবেশে পরিণত হয়েছে৷ স্বাধীন ভারতে বাঙলার সম্পদ লুন্ঠনের পরিকল্পনা দেশীয় পুঁজিপতিদের দেশ স্বাধীনের অনেক আগে থেকেই ছিল৷ সেই পরিকল্পনা মতই বিদেশী ব্রিটিশ শাসকের সহযোগী দেশীয় পুঁজিপতিরা বাঙলার অংশ বিহার উড়িষ্যা অসমের সঙ্গে ঢুকিয়ে দিয়েছে৷ ওইসব অঞ্চলের বাঙালীরা আজ নিজভূমিতেই নির্দয় শোষণের শিকার৷