অসমে গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে আরও একজন বাঙালী বিদেশী তকমা নিয়ে অমানবিক আচরনের শিকার হয়ে মারা গেলেন৷ গত এক মাসের মধ্যে অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি তিনজন বাঙালী মারা গেলেন৷ একের পর এক মৃত্যু দেখেও রাষ্ট্রের কোন হেল-দোল নেই৷
গত ১২ই অক্টোবর মারা যান দুলাল চন্দ্র পাল, এরপর ২৪ শে অক্টোবর ফালু দাস নামে আরও একজন মারা যান৷ গত ২৩শে নভেম্বর গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি নিখিল বর্মন জি, এস,সি এইচ এ চিকিৎসা চলাকালিন মারা যান৷
তিনি গোয়ালপাড়ার দুধৈনর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন৷ ক্যাম্পের অমানবিক পরিবেশে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ গত ৪ঠা অক্টোবর থেকে তাঁর চিকিৎসা চলছিল৷
দুলাল ফালুর মৃত্যুর পর অসম সরকার ক্যাম্পগুলোর উন্নতি করার অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ কিন্তু সবই যে অসার বুলি নিখিলের মৃত্যু তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল৷ বর্মন পরিবারের দাবী তাঁরা অসমের ভূমিপুত্র রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ৷ বাঙলাদেশের সঙ্গে কোনকালেই তাদের কোন সম্পর্ক নেই৷ তাদের কাছে বৈধ নথিপত্রও আছে৷ তা সত্ত্বেও বিদেশী তকমা দিয়ে বন্দী করা হয় নিখিল বর্মণকে৷ সারা অসম বাঙালী যুবছাত্র ফেডারেশন, কোচ রাজবংশী মহাসভা নিখিলের মৃত্যুতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে৷ দুলাল, ফালুর পর নিখিল অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পগুলিতে মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত৷