অসমে মিঞা মিউজিয়াম বিতর্ক

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

অসমে মিঞা মিউজিয়াম বিতর্কে আমরা বাঙালী অসম রাজ্য কমিটির সচিব সাধন পুরকায়স্থ এক বিবৃতিতে বলেন, অসমে জাতিসত্ত্বাকে বিকৃত করার মহড়া চলছে৷ মিঞা মিউজিয়াম তৈরী করা নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক৷ প্রত্যেক মানুষের তার জন্মগত জাতির পরিচয় আছে৷ সেই পরিচয় থেকে নানা কারণে অনেকেই বিচ্যুত হয়েছেন৷ কিন্তু নৃতত্বের ইতিহাস কেউ উপেক্ষা করতে পারবেন না৷ জাতি গঠন একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়৷ কেউ বললেই জাতি তৈরী হয় না৷

শ্রী পুরকায়স্থ বলেন, ভারতবর্ষ কৃষিপ্রধান দেশ, সুতরাং লাঙ্গল, জোয়াল, কোদাল, কুড়াল, টুকরী ইত্যাদি কৃষি সামগ্রী কোন নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর নয়৷ এই সহজ সত্যটি কাহারো অজানা নয়৷ এই কৃষি সরঞ্জাম আধুনিক যুগেও সমান গুরুত্বপূর্ণ৷

অসমের ক্ষেত্রে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার ইসলাম ধর্মীয় লোকদের মধ্যে বিভাজন আনা হয়েছে৷ মিঞা মুসলমান আর গড়িয়া মুসলমান৷ আমার জানা মতে বঙ্গীয় মূলের কৃষকশ্রেণীর মুসলমান যাকে ব্রিটিশ কৃষিকাজের জন্য পূর্ববঙ্গের ময়মনসিংহ, রংপুর ইত্যাদি অঞ্চল থেকে অসমে নিয়ে এসেছিল৷ তারা ব্রহ্মপুত্র উপতক্যায় মিঞা আর বাকি যারা অসমীয়া মুসলমান, যারা দাবী করেন মুঘলের বংশধর, তাদেরকে গড়িয়া মুসলমান বলা হয়৷

সুতরাং অহেতুক এই বিকৃত বিপথগামী চিন্তাধারার অবসান হোক৷ সবাই আত্মপরিচয় আত্মমর্যাদা নিয়ে এই বহুভাষিক অসমে বসবাস করার বহমান ধারা বজায় রেখে চলুক৷ ‘‘আমরা বাঙালী’’ দল সবাইকে নিয়ে সবার ভাষা সংস্কৃতিকে সম্মান জানিয়ে চলতে চায়৷ তাই আসুন আমরা সমস্ত রকম খণ্ড জাতীয়তাবাদ ভুলে এক সুন্দর সমাজ তৈরি করি৷