অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে মানসিক ভারসাম্য হারালেন কাজল বালা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

অসমে কাছাড় জেলার গিরিঘাট কলোনীর বাসিন্দা কাজলবালা দেব ভারতীয় হয়েও দীর্ঘ ৩২ মাস বিদেশী নাগরিকের তকমা নিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি জীবন কাটাতে হয়েছে৷ গুয়াহাটি হাইকোর্টের রায় তিনি মুক্তি পেলেও দীর্ঘ বন্দি জীবনে থেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন৷ অসমের নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির কো-চেয়্যারম্যান সাধনপুরকায়স্থ এই অভিযোগ করেন৷ সাধনবাবু জানান কাজলবালার মতো বহু ভারতীয় নাগরিক অসমের বর্ডার পুলিশের জুলুমবাজির শিকার হচ্ছে৷ প্রতিবছর দশজন করে বিদেশী খুঁজে বার করতে হয় বর্ডার পুলিশকে৷ পুলিশ লক্ষ্যপূরণে ভারতীয় বাঙালীদেরই হয়রানি করছে৷

স্বামী হার কাজলবালার দিনমজুর ছেলের পক্ষে আইনী লড়াই করে তার মাকে ভারতীয় প্রমাণ করার ক্ষমতা ছিল না৷  এক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় কমিটি৷ সাধনবাবুরাই উচ্চআদালতে আইনী লড়াই করে কাজলবালাকে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিয়ে মুক্ত করেন৷ সাধনবাবু সমাজসেবী হারিসআলি লস্কর কে নিয়ে কাজলবালার বাড়িতে গিয়েছিলেন৷ তিনি দাবী করেন বর্ডার পুলিশের বাঙালী বিদ্বেষী ভূমিকার ফলে কাজলবালার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে৷

সাধন বাবু মনে করেন, বিজেপি দল হিসেবে বাঙালী বিদ্বেষী পার্টি৷ তাই নানা অজুহাতে অসমে বাঙালীদের প্রতি অত্যাচার করছে৷  তবে বাঙালীরা বসে থাকবে না৷ তারাও জবাব দেবে৷

সাধনবাবুর অভিযোগ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উচ্চ আদালতে  ট্রাইবুনালের  রায় খারিজ হয় যায়৷ এর থেকেই প্রমাণিত ট্রাইবুনাল  উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই শুধুমাত্র হয়রানি করার জন্যেই বেছে বেছে  বাঙালীদের বিদেশি চিহ্ণিত করে৷ অনেকের পক্ষেই আইনী সাহায্য নেওয়া সম্ভব নয়৷ তাই বহু ভারতীয় নাগরিক এভাবেই বিনা বিচারে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি জীবন কাটাতে বাধ্য হয়েছেন৷