১৯৭১ সালের ২৪শে মার্চকে ভিত্তি ধরে যে প্রক্রিয়ায় অসমে নাগরিক পঞ্জির কাজ চলছে, তাতে অসমে বসবাসকারী দেড় কোটি বাঙালীকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে৷ ইতিমধ্যে অনেকেই আত্মহত্যা করেছেন৷ বি,জে,পি সরকার যদিও ৭ই সেপ্ঢেম্বর ২০১৫ সালে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বর অবধি নাগরিকত্বের আবেদনের সুযোগ দিয়ে নোটিফিকেসন জারী করেছেন, কিন্তু তা এখন পর্যন্ত কোন সুনির্দিষ্ট আইনে পরিণত হয়নি৷ নাগরিকপঞ্জি নিয়ে সারা অসম রাজ্য বাঙালীদের মধ্যে ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছে৷
এই পরিপ্রেক্ষিতে ‘আমরা বাঙালী’র অসম রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, অসমের বাঙালীরা যখন দিশেহারা তখন বাঙালীদের রাজ্য পশ্চিবঙ্গ নির্বিকার৷ আমরা পশ্চিবঙ্গের বুদ্ধিজীবী, সংবাদপত্র ও সরকারের এই ভূমিকার নিন্দা জানাচ্ছি৷
বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে প্রায় দেড় কোটি বাঙালীর আত্মহত্যা ছাড়া অন্য কোন পথ নেই৷ দেশভাগের সময়কার পরিস্থিতি থেকেও বর্তমান পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর বলে আমরা মনে করি৷ রোহিঙ্গাদের চেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷
‘আমরা বাঙালী’ দল সারা দেশে ঐক্যবদ্ধ বাঙালী আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান রাখছে৷ আমাদের দাবী, অসহায় বাঙালীদের রবার জন্য পৃথক নাগরিকত্ব আইন চাই৷ এটাই একমাত্র সমাধান৷