অসমকে বাঙালীমুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু বাঙলার মাটি থেকে বাঙালী উচ্ছেদের চক্রান্ত

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

অসম আমরা বাঙালীর রাজ্যসচিব ও অসমের নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির কো-চেয়ারম্যান সাধনপুরকায়স্থ অভিযোগ করেন---অসমিয়া আধিপত্যবাদীদের দৌরাত্মে ব্রহ্মপুত্র ও বরাকভ্যালির ১৫ থেকে ২০লক্ষ বাঙালী অসম ছেড়ে স্থায়ীভাবে পশ্চিমবঙ্গ ও অন্য রাজ্যে চলে গেছেন তিনি বলেন এখনও যদি বাঙালীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে না দাঁড়ায় তাহলে অসমে বাঙালী শূন্য হয়ে যাবে৷ বাঙালী হিন্দু-মুসলমান মিলিতভাবে লড়াই না করলে বাঙলার নিজস্ব জমি বরাকভ্যালিতেও বাঙালী থাকতে পারবে না৷ শ্রীপুরকায়স্থ মনে করেন---বাঙালীর সামনে আরও বড় বিপদ আছে৷

ইতিমধ্যে অসমকে বাঙালী মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে অসম সরকার৷ সম্প্রতি লাহোরিঘাট এডুকেশন ব্লকের উলুবাড়ি এমই এম স্কুলের আবদুর রশিদ ও ঠেংশালি খণ্ডপুকুরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খাইরুল ইসলাম নামের দুই শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে৷ বর্ডার পুলিশ দুজনের বিরুদ্ধে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে নালিশ করে৷ ট্রাইব্যুনাল দুজনকে বিদেশী নাগরিক বলে ঘোষনা করে৷ শ্রীপুরকায়স্থ বলেন--- দুজনেই বৈধ নাগরিকত্বের প্রমাণ নিয়ে গৌহাটি হাইকোর্টে আবেদন করেছেন, উচ্চ আদালত তাদের আবেদন গ্রহণ করেছে৷ বিষয়টি বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও গত ২৪শে ডিসেম্বর দুজনকেই বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়৷ অসমে অনেককেই বিদেশী তকমা দিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়৷ ডিটেনশন ক্যাম্পে অনেকে মারাও গেছেন৷ আবার অনেকে বৈধ নথিপত্র দেখিয়ে আদালতের রায়ে ডিটেনশনক্যাম্প থেকে বেরিয়ে এসেছেন৷

অসমে বাঙালী নির্যাতন নতুন কোন ঘটনা নয়, স্বাধীনতার পর থেকেই গোপীনাথ বরদৌলি মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকেই অসম থেকে বাঙালীকে বিতাড়ণের চক্রান্ত চলছে৷ দিল্লীতে শাসক পরিবর্তন হলেও দিল্লির শাসকের বাঙালী বিদ্বেষী চরিত্রের কোন পরিবর্তন হয়নি৷ নীতিগতভাবে কংগ্রেস বিজেপির মধ্যে যতই ফারাক থাক, বাঙালী বিদ্বেষী নীতিতে নেহেরু থেকে মোদি কোন ফারাক নেই৷ এমনকি বিজেপির হিন্দুত্ববাদ বাঙালীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি৷ বাঙালী আর কবে এদের চরিত্র চিনবে৷

ভৌগোলিক ঐতিহাসিক বিচারে অসমের সিংহভাগ অঞ্চলই বাঙলার অংশ৷ দেশভাগের বলি হয়ে ওপার থেকে অনেক বাঙালী অসমে এসে স্থিত হয়েছে একথা অস্বীকার না করেও বলা যায় অসমের প্রকৃত ভূমিপুত্রও বাঙালী,আজকের অসমিয়ারা সাবেক ব্রহ্মদেশের নাগরিক৷ এরা ব্রহ্মদেশ থেকে এসে প্রাগ জ্যোতিষপুর (আজকের অসম) আশ্রয় নেয়৷