আসন্ন বোটের মুখে  শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে  আগ্ণেয়াস্ত্র উদ্ধার ও ধৃত ১৩ জন দুষৃকতী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আসন্ন বোটের (ভোটের) মুখে শহরতলির পুলিশ শহরের বিভিন্ন জায়গায় সন্দেহ বশতঃ তল্লাশি চালিয়ে  আগ্ণেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে, এর মধ্যে ছিল বোমা, ধারালো অস্ত্র ও  রিভালবার সমেত ১২ দুষৃকতীকেও  গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ এছাড়া  শহরতলির সোনারপুর থেকেও ধরা হয়েছে  এক অস্ত্রপাচারকারীকে৷

পুলিস সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার  গভীর রাতে হাওড়া থানার  তদন্তকারী অফিসার জানতে পারেন, ইস্ট-ওয়েস্ট  বাইপাসে  কয়েকজন দুষৃকতী জড়ো হয়েছে৷ তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক৷ এরপরেই সাদা পোশাকের পুলিশ বাইপাসে  হানা দিয়ে হাতে নাতে গ্রেফতার  করে প্রসেনজিৎ কুণ্ডু ওরফে ভিকি, সিন্টু চক্রবর্তী, বিনোদ সাউ ও অয়ন কর্মকার  নামে চার দুষৃকতীকে৷ সকলেই হাওড়ার বাসিন্দা৷ তবে দলের বাকিরা পালিয়ে যায়  বলেই দাবি পুলিশের৷ ধৃতদের থেকে চপার, লোহার রড, ছুরি, ভোজালি বাজেয়াপ্ত হয়েছে৷ ওই রাতেই  পৌনে দু’টো  নাগাদ  বালি থানার টহলদার গাড়ির  কর্মীরা  খবর পান, জিটি রোডে  দুই যুবক ইতস্ততঃ ঘোরাঘুরি  করছে৷ খবর পেয়ে  সেখানে  পুলিশের  গাড়ি যেতেই  ছুটতে  শুরু করে ওই দুই যুবক৷ ধাওয়া করে কিছুটা দূরে গিয়ে  পাকড়াও  করলে তাদের হাতে থাকা ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ধারালো অস্ত্র৷ গত বুধবার ভোরে  হাওড়া সিটি পুলিশের  গোয়েন্দারা  লিলুয়ার মনসা কলোনিতে  হানা দিয়ে জিতু সিংহ  নামে এক যুবকের বাড়ি থেকে  একটি সেভেন এম.এম পিস্তল  ও তিন  রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেন৷ গ্রেফতার করা হয়েছে  ওই যুবককে৷  এ দিন গোপনসূত্রে  খবর পেয়ে হাওড়া রেল মিউজিয়ামের  সামনে আগে  থেকেই হাজির ছিল গোয়েন্দাবাহিনী৷ পাঁচ যুবক সেখানে  আসতেই  তাদের ধরে ফেলেন  তাঁরা৷  ধৃতদের  থেকে মিলেছে  তিনটি তাজা বোমা  ও গুলি ভর্তি  ওয়ান শটার৷ ধৃতদের  তিন জন মথুরাপুর,একজন  জয়নগর  ও আর একজন এন্টালির বাসিন্দা৷ পুলিশ কর্র্তরা জানিয়েছেন, ধৃতদের  বিরুদ্ধে পুরনো কী অভিযোগ  রয়েছে, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে৷

এছাড়া ওইদিনেই  বিকেলে সোনারপুর থানার বারুইপুর জেলার পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন্স গ্রুপ  ও সোনারপুর থানার পুলিশ শেখ গোলাম রাকিব নামে একজন অস্ত্রপাচারকারীকে গ্রেফতার করে, এখান থেকে দু’টি ওয়ান শটার, একটি গুলিভর্তি সেভেন এম.এম পিস্তল ও একটি মোবাইল উদ্ধার করা গেছে, তবে অস্ত্রপাচার চক্রের মূল পাণ্ডাকে ধরা যায়নি৷