আসন্ন বোটের (ভোটের) মুখে শহরতলির পুলিশ শহরের বিভিন্ন জায়গায় সন্দেহ বশতঃ তল্লাশি চালিয়ে আগ্ণেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে, এর মধ্যে ছিল বোমা, ধারালো অস্ত্র ও রিভালবার সমেত ১২ দুষৃকতীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ এছাড়া শহরতলির সোনারপুর থেকেও ধরা হয়েছে এক অস্ত্রপাচারকারীকে৷
পুলিস সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে হাওড়া থানার তদন্তকারী অফিসার জানতে পারেন, ইস্ট-ওয়েস্ট বাইপাসে কয়েকজন দুষৃকতী জড়ো হয়েছে৷ তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক৷ এরপরেই সাদা পোশাকের পুলিশ বাইপাসে হানা দিয়ে হাতে নাতে গ্রেফতার করে প্রসেনজিৎ কুণ্ডু ওরফে ভিকি, সিন্টু চক্রবর্তী, বিনোদ সাউ ও অয়ন কর্মকার নামে চার দুষৃকতীকে৷ সকলেই হাওড়ার বাসিন্দা৷ তবে দলের বাকিরা পালিয়ে যায় বলেই দাবি পুলিশের৷ ধৃতদের থেকে চপার, লোহার রড, ছুরি, ভোজালি বাজেয়াপ্ত হয়েছে৷ ওই রাতেই পৌনে দু’টো নাগাদ বালি থানার টহলদার গাড়ির কর্মীরা খবর পান, জিটি রোডে দুই যুবক ইতস্ততঃ ঘোরাঘুরি করছে৷ খবর পেয়ে সেখানে পুলিশের গাড়ি যেতেই ছুটতে শুরু করে ওই দুই যুবক৷ ধাওয়া করে কিছুটা দূরে গিয়ে পাকড়াও করলে তাদের হাতে থাকা ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ধারালো অস্ত্র৷ গত বুধবার ভোরে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা লিলুয়ার মনসা কলোনিতে হানা দিয়ে জিতু সিংহ নামে এক যুবকের বাড়ি থেকে একটি সেভেন এম.এম পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেন৷ গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবককে৷ এ দিন গোপনসূত্রে খবর পেয়ে হাওড়া রেল মিউজিয়ামের সামনে আগে থেকেই হাজির ছিল গোয়েন্দাবাহিনী৷ পাঁচ যুবক সেখানে আসতেই তাদের ধরে ফেলেন তাঁরা৷ ধৃতদের থেকে মিলেছে তিনটি তাজা বোমা ও গুলি ভর্তি ওয়ান শটার৷ ধৃতদের তিন জন মথুরাপুর,একজন জয়নগর ও আর একজন এন্টালির বাসিন্দা৷ পুলিশ কর্র্তরা জানিয়েছেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে পুরনো কী অভিযোগ রয়েছে, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে৷
এছাড়া ওইদিনেই বিকেলে সোনারপুর থানার বারুইপুর জেলার পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন্স গ্রুপ ও সোনারপুর থানার পুলিশ শেখ গোলাম রাকিব নামে একজন অস্ত্রপাচারকারীকে গ্রেফতার করে, এখান থেকে দু’টি ওয়ান শটার, একটি গুলিভর্তি সেভেন এম.এম পিস্তল ও একটি মোবাইল উদ্ধার করা গেছে, তবে অস্ত্রপাচার চক্রের মূল পাণ্ডাকে ধরা যায়নি৷