গত এক বছরে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি মহম্মদ শামি৷ চোটের কারণে খেলতে পারছেন না তিনি৷ ভারতের জার্সিতে তাঁর মাঠে ফেরার দিন বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে৷ ভারতীয় দলের জার্সিতে খেলার আগে শামিকে হয়তো বাংলার হয়ে রঞ্জি খেলতে দেখা যাবে৷ তবে বাংলার হয়ে আগামী ম্যাচেই তাঁর নেমে পড়ার সম্ভাবনা কম৷ জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই বাংলার হয়ে খেলবেন শামি৷ তিনি প্রায় সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন৷ বাংলার হয়ে রঞ্জির প্রথম ম্যাচেই তাঁর খেলার কথা শোনা গিয়েছিল৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি৷ চোট পুরোপুরি না সারায় তাঁর মাঠে ফেরা পিছিয়ে যায়৷ যদিও বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্ট শেষ হওয়ার পর শামিকে বল করতে দেখা যায়৷ ভারতের সহকারী কোচ অভিষেক নায়ারকে বল করছিলেন তিনি৷ শামির উপর নজর রাখছিলেন মর্নি মর্কেল৷
গুরুগ্রামের এক অনুষ্ঠানে শামি বলেছেন, ‘‘আগের দিন বোলিং করে খুব ভাল লেগেছে৷ শরীরের উপর চাপ না দিতে এত দিন অর্ধেক রান-আপে বল করছিলাম৷ গত কাল সিদ্ধান্ত নিলাম ঠিকঠাক ভাবে বল করব৷ নিজের ১০০ শতাংশ দিয়েছি৷ দারুণ লেগেছে৷ ফলাফলও ভাল৷ আশা করা যায় দ্রুতই মাঠে ফিরব৷ জানি না কবে খেলতে পারব৷ তবে যে দিন মনে হবে ২০-৩০ ওভার বল করতে পারব এবং চিকিৎসকদের অনুমতি পাব সে দিনই দৌড়ে খেলতে চলে যাব৷ অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে যতটা সম্ভব মাঠে সময় কাটাতে চাই৷’’
ধীরে ধীরে শামিকে খেলায় ফেরানো হবে৷ একবারে তাঁর উপর পুরো চাপ দিতে রাজি নয় বোর্ড৷ ২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালের পর থেকে মাঠের বাইরে শামি৷ এখন নেটে বল করছেন তিনি৷ সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্টও করছেন৷ তবে লাল বলের ক্রিকেটে খেলতে হলে এক ইনিংসে ২০-২৫ ওভার বল করার ক্ষমতা থাকতে হবে৷ শামি বলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া সফর এখনও অনেক দেরি৷ এখন নিজেকে ফিট রাখতে হবে৷ দেখা যাক ওখানে যাওয়ার আগে কতটা শক্তিশালী হতে পারি৷ টেস্ট সিরিজে ওখানে আমাদের কী করতে হবে সেটা জানি৷ তাই মাঠে আরও কিছুটা সময় কাটাতে চাই৷ যদি ফিট হয়ে যাই এবং আট-দশ দিনের সময় পাই, তা হলে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে একটা-দুটো ঘরোয়া ম্যাচ খেলার ইচ্ছা রয়েছে৷’’