দেশ আজ চরম আর্থিক বিপর্যের সম্মুখীন৷ পাইকারী ও খুচরো পণ্যমূল্য বৃদ্ধির হার সবের্র্বচ্চ স্তরে পৌঁছে গেছে৷ বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা, অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও সরকারী পরিসংখ্যানেও দেশে আর্থিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা৷
যা অবস্থা তাতে আর্থিক বৃদ্ধির গতিস্তব্ধ হয়ে যেতে পারে৷ প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বলেন---পুঁজিবাদী শোষণ চরম সীমায় পৌঁছে গেছে, অর্থনীতিতে গতিহীনতা পুঁজিবাদী শোষণের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি৷ তিনি বলেন পুঁজিবাদের অবসান ঘটানোর স্বপ্ণ দেখেছিল যে মার্কসবাদ সেই মার্কসবাদ আজ বিলীয়মান তত্ত্ব৷ ধনতন্ত্রও মানুষের সার্বিক কল্যাণে অক্ষম৷ দেশে আজ চরম পুঁজিবাদী শোষণের পাশাপাশি সংস্কৃতি জীবনেও চলছে নির্মম দমন পীড়ন৷ বাজার ছেয়ে গেছে বিকৃত রুচি সম্পন্ন সাহিত্য, শিল্প-কলায়, যুব সমাজের মনেও পড়েছে এর বিকৃত প্রভাব৷ আর্থিক বৈষম্য ও বিকৃত সাহিত্য সংস্কৃতির প্রভাবেই সমাজে এত কদর্য ঘটনা ঘটছে৷ আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বলেন---মার্কসবাদ ও ধনতন্ত্রের করুণ পরিণতির কথা প্রাউট প্রবক্তা অনেক আগেই বলে গেছেন৷ তাই মার্কসবাদ যেমন আজ বিলীয়মান, তেমনি অচিরেই পুঁজিবাদও আতসবাজির মতই ফেটে চৌচির হয়ে যাবে৷ আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত সরকারকে সতর্ক করে বলেন---আর্থিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না করলে দেশে আর্থিক বিপর্যয় তীব্রতর হবে৷ শুধু আর্থিক ক্ষেত্রে নয়, জীবনের সর্বাঙ্গীন বিকাশের ক্ষেত্রেই চরম বিপর্যয় নেবে আসবে৷
আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বলেন বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলো পুঁজিপতিদের অঙ্গুলী হেলনে চলে৷ তাই বর্তমান সমাজ জীবনের সার্বিক বিপর্যয় রুখতে প্রাউটিষ্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে৷ কারণ প্রাউটই একমাত্র সার্বভৌমিক বিকাশের আদর্শ দর্শন৷ প্রাউটতত্ত্বের বাস্তবায়নের মাধ্যমেই অর্থনীতির পুরোপুরি পুনর্বিন্যাস ঘটাতে হবে৷ তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গেই বলেন---প্রাউটের পক্ষেই সম্ভব মানুষে আর্থিক দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্তি দেবার৷
তাই প্রাউটিষ্টদের এক্ষুনি নেমে পড়তে হবে, মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে শোষণমুক্ত ও নব্যমানবতাবাদের বাজী৷