বৈধ নথি হাতে ডিটেনশন ক্যাম্পে কানু পাল

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

শিলচর : অসমে বরাক উপত্যকার কারিছড়া গ্রামের বাসিন্দা কানু পাল৷ তার বাসস্থানটি ১৯৬৫ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী তার বাবা কিনেছিল৷ সে দলিল কানুবাবুর হাতে আছে৷ কানুবাবুর বাবার নাগরিকত্ব সার্টিফিকেটও আছে৷ নাগরিকত্ব প্রমাণের বৈধ নথি থাকা সত্ত্বেও ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসের এক রাতের অন্ধকারে কানু পালকে বাড়ি থেকে পুলিশে তুলে নিয়ে গিয়ে শীলচর ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেয়৷ ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল কোনও নথিই দেখতে চায়নি৷ একতরফা রায়ে কানু পাল বিদেশী হয়ে যায়৷

বাড়িতে স্ত্রী ও এক কন্যা আছে৷ কোনরকমে দিন মজুরী করে সংসার চালাতেন কানু পাল৷ তিনি ডিটেনশন ক্যাম্পে চলে যাওয়াতে মা-মেয়ে খাবার জোটাতেই হিমসিম খায়৷ তাই ট্রাইবুন্যালকে চ্যালেঞ্জ করার মত কোন সঙ্গতি কানু পালের পরিবারের ছিল না৷ ক্যাম্পে অসুস্থ হয়ে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন৷ গত ১২ই ফেব্রুয়ারী শরীরের একদিকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে৷ ডিটেনশন ক্যাম্পের বন্দীর প্রতি বিশেষ নজর ছিল না ডাক্তারদের৷ ঠিক এই সময়েই খবর পেয়ে সৌমিত্র দত্ত রায়, শুভ্রাংশু ভট্টাচার্য, পল্লবিতা শর্মা, যোজ্ঞেশ্বর দেব ও আরও কয়েকজন মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে কানু পালের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন৷ তার মুক্তির জন্য আইনী ব্যবস্থাও নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে৷ এ ব্যাপারে হায়লাকান্দির আইনজীবী শেখর ধর সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন৷