প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির রত্তস্নাত সংঘাতের তীব্র নিন্দা করেন৷ তিনি বলেন এই ঘৃণ্য রাজনীতি বাঙালী জাতিকে ধবংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যুবসমাজকে অধঃপথে ঠেলে দিচ্ছে৷
রাজ্যের নেতাদের বাঙলার অর্থনৈতিক উন্নয়নের কোন আন্তরিক প্রয়াস নেই৷ বরং যেকোন ভাবে ক্ষমতার কেন্দ্রে থেকে পুঁজিবাদের দাসত্ব করা ও তাদের স্বার্থরক্ষা করাই একমাত্র কাজ৷
শ্রীখাঁ বলেন---ক্ষমতা দখলের জন্যে এই ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত জনগণের সেবার জন্যে নয়, পুঁজিবাদী শোষনকে আরও সুদৃঢ় করাই এদের লক্ষ্য৷ বাঙলাকে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে রেখে বাঙলার অর্থনৈতিক সম্পদ লুন্ঠনের বৈশ্য শোষক ও কেন্দ্রীয় শাসকের এ এক সুগভীর ষড়যন্ত্র৷ রাজনৈতিক দলগুলো এই ষড়যন্ত্রের শিকার৷
শ্রী খাঁ আক্ষেপ করে বলেন--- স্বাধীনতার পর ৭৫ বছর পার হয়ে গেল, সরকার অমৃত মহোৎসব করছে কিন্তু আজ পর্যন্ত দেশের সার্বিক উন্নতির জন্যে কোন বলিষ্ঠ নীতি নির্ধারণ করতে পারেনি৷ আজ সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নতির জন্যে প্রয়োজন যথোপযুক্ত পরিকল্পনা ও কর্মসূচী৷ প্রাউট সেই পরিকল্পনা ও কর্মসূচীর সুনির্দিষ্ট পথ দেখিয়েছে৷ প্রাউটের মতে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ও ভূ-প্রকৃতির গঠনগত পার্থক্য অনুযায়ী সামাজিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনারও পার্থক্য থাকবে৷ সামাজিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনার স্থানগত পার্থক্য থাকায় একাধিক সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে মানুষের কর্মসংস্থান করে তাদের হাতে ক্রয়ক্ষমতা তুলে দিতে হবে৷ ভারতবর্ষে এইরকম ৪৪টি সামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে হবে৷ মূল লক্ষ্য হবে প্রতিটি অঞ্চলকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তোলা৷ কিন্তু পুঁজিবাদের আওতায় থেকে কোন শাসকদলের পক্ষেই সম্ভব নয় মানুষের সার্বিক কল্যাণের পথে চলা৷ প্রাউটের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গেলে বৈশ্য শোষকের চরম বাধার সম্মুখীন হতে হবে৷ শ্রী খাঁ বাঙলার যুব সমাজের উদ্দেশ্যে বলেন অবিলম্বে ভ্রাতৃঘাতী রাজনীতি ভুলে সামাজিক-অর্থনৈতিক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে বৈশ্যের শোষন ও অত্যাচার রুখতে৷ তবেই বাঙলাকে বাঁচান সম্ভব হবে৷