ছাত্রী নয়, ছাত্রা
‘ছদ্’ ধাতুর অর্থ আচ্ছাদন দেওয়া৷ যে বস্তু আচ্ছাদন দেয় তা–ই ‘ছত্র’৷ গুরুর ছত্রছায়ায় যে আশ্রিত তাকে ছত্র অণ করে ‘ছাত্র’ বলা হয়৷ ‘ছাত্র’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গে দু’টি রূপ রয়েছে–‘ছাত্রী’ ও ‘ছাত্রা’৷ ‘ছাত্রী’ মানে ‘ছাত্রের পত্নী’৷ তিনি নিজে পড়ুয়া হতেও পারেন, নাও হতে পারেন৷ ‘ছাত্রা’ মানে যিনি নিজে পড়ুয়া কিন্তু তিনি কারও স্ত্রী হতেও পারেন, নাও পারেন৷
সঠিক নয়, ঠিক
ঠিক একটি বিশেষণ৷ সাধারণ নিয়মে বিশেষণের আগে ‘স’–এর সংযুক্তি হয় না৷ যেমন ‘সচকিত’ ভূল তেমনি ‘সঠিক’–ও ভুল৷ ‘ঠিক’ বলাই ঠিক৷
নাগাসন্ন্যাসী / নংগাসন্ন্যাসী
সন্ন্যাসী সর্বাবস্থাতেই লজ্জাপাশমুক্ত৷ কিন্তু সামাজিক কল্যাণের কথা ভেবে অধিকাংশ সন্ন্যাসীই সমাজে নগ্ণাবস্থায় ঘোরাফেরা করেন না৷ কিন্তু এক শ্রেণীর সন্ন্যাসী তাঁদের সন্ন্যাসবিধির অংশ হিসেবে স্থান–কাল–পাত্র নির্বিশেষে সর্বাবস্থাতেই নগ্ণাবস্থাতেই থাকেন৷ তাঁদের নংগাসন্ন্যাসী বলা হয়৷ ‘নংগা’ শব্দটি ‘নগ্ণ’ শব্দ থেকে এসেছে৷ অনেকে ভুল করে এদের নাগাসন্ন্যাসী বলে থাকেন৷ না, তা বলা উচিত নয়৷