বাংলার ফুটবলে সুদিন ফেরাতে চান কল্যাণ

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

দেশের ফুটবল নিয়ামক সংস্থার শীর্ষপদে পদে বাংলার প্রাক্তন গোলরক্ষক৷ অথচ  বাঙালী ফুটবলারের কোন সুযোগ হচ্ছে বাঙালি ফুটবল দলে৷  ফুটবল মাঠ থেকে রাজনীতির অলিন্দ  হয়ে ভাইচুং ভুটিয়াকে বিপুল ভোটে হারিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হয়েছেন কল্যাণ চৌবে৷ যখন খেলতেন, দলের দুর্গ সামলাতেন৷ এবার কাঁধে তুলে নিয়েছেন ভারতীয় ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে৷ ফুটবলার থেকে প্রশাসনের শীর্ষপদে কতটা কঠিন ছিল এই যাত্রাপথ? এব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন--- দীর্ঘ এই যাত্রা খুবই কঠিন ও সংঘর্ষপূর্ণ ছিল৷ ভাবিনি কখনও এই জায়গায় আসব৷’’ খেলোয়াড় জীবনে উপেক্ষা ও বঞ্চনার যন্ত্রণাই যে তাঁর মনের মধ্যে ফুটবল প্রশাসনে আসার বীজ বপন করে দিয়েছিল, খোলাখুলি জানালেন কল্যাণ৷ বললেন, ‘‘যখন খেলতাম, তখন খুব রাগ হত ফেডারেশনের নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার বাহাত্তর ঘন্টা আগেও প্রস্তুত ছিলাম না সভাপতি হওয়ার জন্য৷’’ ফেডারেশনের সভাপতি হওয়ার জন্য প্রস্তুত না থাকলেও নির্বাচিত হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে সবচেয়ে আগে কী পদক্ষেপ করা উচিত তার রূপরেখা তৈরি করে ফেলেছেন কল্যাণ৷ বললেন,‘‘আমাদের এই বিশাল দেশে প্রতি ২০০ কিলোমিটার অন্তর ভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি দেখতে পাওয়া৷  তাই রাতারাতি কোনও পরিকল্পনা এনে সব কিছু বদলে ফেলা যায় না৷ আমরা ১০০ দিনের একটা পরিকল্পনা করেছি৷ রাজ্য সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা ফুটবলের উন্নতিতে কী পরিকল্পনা করেছেন, তা জানাবেন৷ তার পরে কেন্দ্র, রাজ্য সরকার, সাই ও রাজ্যের ফুটবল সংস্থাগুলিকে একসঙ্গে  নিয়ে এগোতে চাই৷’’

দেশের ফুটবল নিয়ামক সংস্থার শীর্ষ পদে বাংলার প্রাক্তন গোলরক্ষক৷ অথচ চবিবশ ঘন্টা আগে কোচ ইগর স্তিমাচের ঘোষিত ২৪ জনের দলে এক জনও বাঙালি ফুটবলার নেই৷ জাতীয় কোচের  সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে কল্যাণ কাঠগড়ায় তুললেন, বাংলার ফুটবল কর্তাদেরই৷ বললেন,‘‘এটাই ভবিতব্য ছিল৷ গত দশবছর ধরে সন্তোষ ট্রফি, বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় বাংলার কত ফটবলার প্রতিনিধিত্ব করছে? ইষ্টবেঙ্গল, মোহনবাগানসহ অন্যান্য ক্লাবগুলিতে বাঙালী ছেলেরা কী করছে? আই.এস.এলে কলকাতার  দুই প্রধান যোগ দেওয়ার পরে কত জন  বাঙালী ফুটবলার  খেলার সুযোগ পেয়েছে? বাঙলার ফুটবলারের সংখ্যা যে ক্রমহ্রাসমান, সেদিকে কারও নজরই ছিল না৷  দীর্ঘ অবহেলার ফল ভোগ করতে হচ্ছে৷’’ এর জন্য দায়ী কারা? কল্যাণের স্পষ্ট জবাব, ‘‘বাঙলার ফুটবল যাঁরা চালাচ্ছেন৷ আইএফ.এ থেকে ক্লাব কর্তারা  প্রত্যেকেই সমান দায়ী৷’’ বাংলার ফুটবলের সুদিন ফেরানোর মন্ত্র কী? ‘‘আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হবে৷’’