কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিচার্স (আই.সি.এম.আর)–এর মতে বাঙালীর রসনাতেই লুকিয়ে রয়েছে কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের বীজ৷ সারা দেশে সব রকম ক্যান্সারের মধ্যে কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের নজির ১ শতাংশ কম, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের সেই অনুপাত ৮ শতাংশের বেশী৷ অর্থাৎ সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষে৷
কাজের দিনে দেদার মাটনরোল, কাবাব, চাউমিন সহ সবরকম ফাষ্টফুড, কব্জিডুবিয়ে পাঁঠার মাংস, এছাড়া রেডমিট, অঢ়েল মশলাদার খাবারের দৌরাত্ম্যই অন্য রাজ্যের তুলনায় বাঙালীর কোলোরেক্টাল ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা ২০গুন বাড়িয়ে দিয়েছে৷ এদের মধ্যে শতকরা ৬৯ জনের মৃত্যু হয়৷
আইসিএমআর–এর সহযোগী সংস্থা নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস ক্যান্সার রিসার্চ ইনষ্টিটিউটের অধিকর্তা আশিস বসু এ ব্যাপারে অবাক৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)র নির্দেশিকাকে মান্যতা দিয়ে গোটা মার্চ মাসকে আন্তর্জাতিক ‘কোলোরেক্টাল ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস মাস’ হিসাবে দিনটিকে পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়৷ এ রাজ্যে সরকারী ভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কি না জানা যায় নি৷ আশিষবাবু আরো বলেন – চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনষ্টিটিউট (সি.এনসি.আই) কোলকাতার ১৪১টি ওয়ার্ডের এক সমীক্ষায় জেনেছে যে, সব ক্যান্সারের মধ্যে কেলোরেক্টাল ক্যান্সারই ৮ শতাংশের বেশী৷ ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার কংগ্রেসে প্রকাশ যে পশ্চিমবঙ্গে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার ৮.৬ শতাংশ৷ অন্য রাজ্যে তা কেবল ১ শতাংশের কাছাকাছি৷
– ফাষ্টফুড খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে, কমে গেছে শাকশব্জি খাওয়ার অভ্যাস৷ পাঁঠার মাংস, রেডমিট খাওয়াও বেড়ে গেছে৷ সমীক্ষায় আরো জানা গেছে এ রাজ্যের প্রায় শতকরা ৫৫ ভাগ মানুষ রেড মিট খেতে অভ্যস্থ৷ কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে চলেছে বঙ্গজীবনের ইতিবৃত্তে৷