বারাসাতে রাওয়া আয়োজিত প্রভাত সঙ্গীতানুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গতকাল ‘রাওয়া’ বারাসাত শাখা আয়োজিত সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হ’ল প্রভাত সঙ্গীত ও এর উপরে ভিত্তি করে নৃত্যানুষ্ঠান৷ এর মাঝে মাঝে প্রভাত সঙ্গীত সম্পর্কে ছোট ছোট বত্তৃণতা৷ বক্তব্য রাখেন ড: পুষ্প বৈরাগ্য, শ্রী শচীন্দ্রনাথ পাল, আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত৷ এই অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত দাদা৷ সকলেই তাঁদের মূল্যবান বক্তব্যের মধ্যে প্রভাত সঙ্গীতের ভূয়ষী প্রশংসা করেন৷ এ সঙ্গীত মানুষের মনুষত্বের উত্তরণ ঘটিয়ে তাকে দেবত্বে প্রতিষ্ঠা করে--- মুক্তির পথকে প্রশস্ত করে৷

সভাপতির ভাষণে আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত দাদা বলেন যাঁরা সঙ্গীত, নৃত্য পরিবেশন করেছেন তাঁরা খুব-ই সুন্দর করেছেন ও যাঁরা বক্তব্য রেখেছেন তাঁরা তাঁদের সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেছেন৷ তিনি আরও বলেন যে আনন্দমূর্ত্তিজী একজন ধর্মগুরু হয়েও তিনি দিয়েছেন শিক্ষা-সাহিত্য-সঙ্গীত-নব্যমানবতাবাদ৷ মানুষের জাগতিক প্রয়োজন পূর্তির জন্য প্রাউট৷ সকল জীবের জন্যে তিনি সব কিছুই দিয়েছেন৷ অথচ আনন্দমূর্ত্তিজী জীবনে কখনও গান শেখেন নি, কোন সুরের-ই চর্চা করেন নি৷ তিনি যত বই লিখেছেন, সঙ্গীত রচনা করেছেন তার কোন কিছুই নিজে হাতে লেখেন নি৷ তিনি মুখে বলে গেছেন ফল্গুধারার মত৷ তাই মাত্র আট বছর এক মাস সাত দিনের মধ্যে আটটি ভাষায় ৫,০১৮ টি সঙ্গীত তিনি মানব কল্যাণে দিয়েছেন৷ প্রতিটি গানের সুরও তিনি দিয়েছেন৷ এর মধ্যে প্রতিটি সুর, রাগ-রাগিনী সহ লুপ্ত হয়ে যাওয়া সুর, প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সকল সুর-ই বিদ্যমান৷ তিনি এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভাপতির ভাষণ শেষ করেন৷ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শ্রী তপোময় বিশ্বাস ও শ্রীমতি পারমিতা মজুমদার৷ বারাসাত রাওয়া শাখার প্রতিটি সদস্য-সদস্যা সহ শ্রী স্বপন কুমার দাস ও শ্রীমতি মিতা দাস মহাশয়াকে এ রকম একটি মনোজ্ঞ প্রভাত সঙ্গীত সন্ধ্যা উপহার দেওয়ার জন্যে আমাদের ভুক্তির পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ৷