ভারত থেকে সাত হাজার ৬৪৫ কিলোমিটারের (মাইলের হিসাবে চার হাজার ৭৫০) দূরের দেশ নাইজেরিয়ার হাজারের বেশি নাগরিককে এক বছরে বিতারিত করা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩-এর এপ্রিল থেকে ২০২৪-এর মার্চ পর্যন্ত এক বছরে দু’হাজারে বেশি বিদেশি নাগরিককে বিতাড়িত করা হয়েছে৷
কর্মসূত্রে হোক বা পড়াশোনার কারণে, কিংবা ঘুরতে বা অন্যান্য প্রয়োজনে এক দেশের মানুষ অন্য দেশে যান৷ অন্য দেশ থেকে ভারতে আসা বিদেশির সংখ্যাও নেহাত কম নয়৷ তবে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও অনেকে এ দেশে থেকে যান৷ অনেকে আবার জাল নথি ব্যবহার করে পাকাপাকি ভাবে ভারতে থাকতে শুরু করেন৷ তবে ধরা পড়লে বিপদ৷ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বেআইনি ভাবে ভারতে বসবাসকারী বিদেশিদের বিতাড়ন করে কেন্দ্র৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ২০২৩-২০২৪ রিপোর্টে বিতাড়ন সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে৷ সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত থেকে ২০২৩-এর এপ্রিল থেকে ২০২৪-এর মার্চের মধ্যে বিতাড়িত করা হয়েছে দু’হাজার ৩৩১ জন বিদেশিকে৷ এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ৷ ওই সময়ের মধ্যে ৪১১ জন অভিবাসীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত সরকার৷ ভারতে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ নিয়ে নানা সময়ে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে৷ রাতের অন্ধকারে কাঁটাতার পেরিয়ে বা ভুয়ো নথি ব্যবহার করে ভারতে প্রবেশের অভিযোগ ওঠে৷ প্রায় প্রতি দিন কোনও না কোনও বাংলাদেশি অভিবাসী পুলিশের জালে ধরা পড়ছেন৷ যাঁদের কাছে ভারতে থাকার প্রয়োজনী নথি নেই৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ২০২৩-২০২৪ রিপোর্ট অনুযায়ী, এক বছরে এক হাজার ৪৭০ জন নাইজেরিয়ানকে বিতাড়িত করা হয়েছে৷ তালিকার তৃতীয় স্থানে আছে উগান্ডা৷ সে দেশের ৭০ জন নাগরিককে বিতাড়িত করেছে ভারত সরকার৷ কোনও বিদেশির ভারতে আসা, থাকা, দেশের মধ্যে ঘোরাফেরা আবার নিজের দেশে ফিরে যাওয়া এই পুরো বিষয়টিই চলে ‘ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশন (বিওআই)’-এর নজরদারিতে৷ বিদেশি আইন, পাসপোর্ট আইন ইত্যাদির ভিত্তিতেই ভারতে বিদেশিদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হয়৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩-এর এপ্রিল থেকে ২০২৪-এর মার্চ পর্যন্ত ভারতে আসা বিদেশির সংখ্যা ৯৮ লক্ষ ৪০ হাজার ৩২১ জন৷ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোক এসেছেন বাংলাদেশ থেকেই৷ সংখ্যাটা ২১ লক্ষ৷ আমেরিকা এবং ব্রিটেন থেকে যথাক্রমে ভারতে আসা লোকের সংখ্যা ১৭ এবং ৯ লক্ষ৷