বেদপাঠ

লেখক
নিউটন

আদিহীন অন্তহীন নীলিমার বিপন্ন বিস্ময়

নিরন্তর বহমান সময়ের চাকা ঘুর্ণমান

রাত্রির নিয়তি না কি নিয়তির রাত্রি হয় ক্ষয়

সেকেণ্ড মিনিট পলে পলে চলে কোন মহাযান?

পৃথিবীর প্রান্ত হতে মহাশূন্যের পানে কে ধায়

ইতিহাসের প্রথম পাতার পুর্বের যে পৃষ্ঠায়

যেখানে হয়নি লেখা কালি ও কলমের ছোঁয়ায়

লিখিত পাণ্ডুলিপি দেখাবে আর কোন দ্রষ্টায়?

যে নদী আজ বুক ভরা তৃষ্ণার জল রাশি ধরে

পেয়েছে পরিচয় সীমাহীন সমুদ্রের সংজ্ঞায়

কোন রূপে অন্তলীন জলধির যৌবন সম্বরে

অম্বরে ঢেকেছে পঙ্কিল পৃথিবীরে স্নিগ্দ গঙ্গায়?

একমুঠো মাটি আজ সাজিয়েছে পৃথিবীর সাজ

এতো তরুলতা ফুল ফল পাখিদের কোলাহল

স্নিগ্দ রাত্রির অঞ্চল জুড়ে জোছনার কারুকাজ

কে দিলো উচ্ছল প্রাণের হাসিতে ভরা অশ্রুজল?

মহাশূন্যে কোন মাছরাঙা এসে জ্বেলেছে আগুন

দুর করে পৃথিবীর অন্ধকার খুলে রুদ্ধদার

প্রাণে প্রাণে সব ছড়িয়ে দিয়েছে বসন্ত ফাগুন

ম্ঙ্গলদীপ জ্বেলে আনন্দযজ্ঞে ডাকে বার বার?

শূন্যেরে ছেড়ে দিলে শূন্যে মেশে অনন্ত শুন্যতায়

রূপ অরূপের খেলা খেলে বসে কোন লীলাময়

যে এসে ফিরে যায় সে কোন অসীম অখণ্ডতায়

বেদান্তের আদি অন্ত বিজ্ঞানের বোঝা বড় দায়৷

জন্ম মৃত্যু কোন বৃন্তে মানবেরে কাঁদায় হাসায়

অনাদিকালের মহাপ্রাণ সাগরের তীরে একা

যে জেনেছে সে চুপ করে আছে বোধিবৃক্ষ ছায়ায়

বসে আছে পেতে এক মহাশূন্যের নিঃশূন্য রেখা৷