২০১৪ সালে ক্ষমতা দখল করতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বছরে দু-কোটি চাকরীর৷ ভোটে জেতার পর মানুষকে শুনিয়েছিলেন আশারবাণী- আ-গিয়া৷ ১১ বছরে মানুষ বুঝে গেছে আচ্ছা দিন এসে গেছে সরকারের, সাধারণ মানুষের নয়৷ যদিও বিকশিত ভারতের প্রচারে খাম্তি নেই৷ তবে বিকাশের চরম সীমায় পৌঁছতে আরও ২২ বছর লাগবে অর্থাৎ ২০৪৭-এ! ততদিন আর্থিক দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের ভরষা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর প্রকল্প ১০০দিনের কাজের গ্যারান্টি৷
মোদির বিকশিত ভারতে ১১ বছরে উৎপাদন বিক্রির পরিমান সর্বনিম্ন৷ স্বাভাবিকভাবেই শিল্পে উৎপাদনের হারও কমছে৷ বেকারত্বের হার বাড়ছে৷ শহরকেন্দ্রিক কাজের সুযোগও কমছে৷ জীবিকার ক্ষেত্রে চরমমন্দা৷ মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা নেই৷ এই পরিস্থিতিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ১০০দিনের প্রকল্পকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইছে গ্রামীন মানুষ৷ শেষ ৬ মাসে সারা দেশে এই প্রকল্পে নাম লিখিয়েছে প্রায় ১৫কোটি মানুষ৷ অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ এই তালিকায় নেই৷ গত তিন বছরেরও বেশী নানা মিথ্যা অজুহাতে কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না৷ কেন্দ্রীয় সরকারের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধহীন যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থি প্রতিহিংসা পরায়ন রাজনীতির শিকার পশ্চিমবঙ্গবাসী৷ বাঙলা দখলে ব্যর্থ মোদি ভেবেছিলেন ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হলে মানুষ ক্ষোভে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যাবে৷ কিন্তু কার্যত উল্টোটাই হচ্ছে৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পই রাজ্যের মানুষকে ভরসা যোগাচ্ছে৷
২০২৪ সালের বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের প্রকল্পে বরাদ্দ করেছিল ৮৬ হাজার কোটি টাকা৷ সেই তহবিল প্রায় শেষের দিকে৷ কিন্তু কাজের চাহিদা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে৷ ২০২৫-এর জানুয়ারী মাসে ১০০দিনের কাজে আবেদন জমা পড়ে ২কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ, ফেব্রুয়ারী মাসে ২ কোটি ৬১ লক্ষ৷ আর্থিক বছর শেষ হতে এখনও এক মাস বাকী৷ এই অবস্থায় অর্থমন্ত্রকের ঘুম ছুটে গেছে৷