বরাকের কর্মপ্রার্থীদের প্রতি দিশপুরের বঞ্চনা ও মেঘালয়ে নিরীহ অনুপজাতির নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ১৮ নভেম্বর সর্বাত্মক বরাক বন্ধ ডেকেছে বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট৷ এই বনধে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করল ‘আমরা বাঙালি’ দল৷
এক প্রেস বার্র্তয় ‘আমরা বাঙালি’ দলের অসম রাজ্য কমিটির সচিব শ্রীসাধন পুরকায়স্থ বলেন যে বিজেপি পরিচালিত উগ্র অসমিয়া জাতীয়তাবাদী রাজ্য সরকার যেভাবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদে বরাকের তিন জেলার কর্মপ্রার্থীদের প্রতি পক্ষপাত করেছে তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না৷ তিনি বলেন এও খবর পাওয়া যাচ্ছে যে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার বাঙালিরাও এই তালিকায় নগন্য সংখ্যক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে৷ তিনি বলেন এসব সুপরিকল্পিত চক্রান্ত৷ সাধন পুরকায়স্থ বলেন যে ১৯৫৯ সালের কেন্দ্রীয় সরকারের আইন অনুযায়ী অতীতে এসব পদে স্থানীয় কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা স্থানীয়দের নিযুক্তি দিতেন৷ কিন্তু তার পরিবর্তে রাজ্য ভিত্তিক নিযুক্তি বোর্ড করে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে তা এক সুগভীর চক্রান্তের অঙ্গ বলে মনে করে ‘আমরা বাঙালি’৷ তার প্রশ্ণ ‘পিয়ন, চৌকিদারের চাকরি করার মতো যোগ্যতাও কি বরাকের ছেলেমেয়েদের নেই? সাধন বাবু আরো বলেন যে ২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বরাকে এসে এখান তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদ স্থানীয়দের জন্য সংরক্ষিত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অথচ দেখা যাচ্ছে কার্যক্ষেত্রে তা পালন করার কোন সদিচ্ছা এই সরকারের নেই৷ তিনি বলেন বরাকের সরকারি ভাষা বাংলা না জানা প্রার্থীদের যেভাবে নিয়োগ করে এখানকার অফিস আদালতে পাঠানো হচ্ছে এর পেছনে ধীরে ধীরে বরাক উপত্যকার অসমিয়া করণের উদ্দেশ্যে রয়েছে৷ সাধনবাবু বলেন এই উদ্দেশ্যকে প্রতিহত করতে এখনই সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে৷ ছাত্র, যুবক শ্রমিক কৃষক সবাইকে একজোট হয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হতে হবে৷ পুনরাবৃত্তি ঘটাতে হবে না ১৯৬১ এর রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের৷ তাই শুধু বিডিএফ নয় এই দায়িত্ব আপামর বরাক বাসীর৷ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী ১৮ই নভেম্বরের বনধকে সফল করার অঙ্গীকার নেবার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷