বরাক ভ্যালীর বিস্তীর্ণ অঞ্চল বন্যার কবলে৷ বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও জনজীবন বিপর্যস্ত৷ সরকারী ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে৷ সব জায়গায় ত্রাণ পৌঁছায় না৷ আমরা বাঙালী দলের অসম রাজ্য সচিব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান---এখনো শিলচর শহরের বিভিন্ন অঞ্চল জলের তলায়৷ বিধবংসী বন্যায় বিদ্ধস্ত বাড়ীঘর৷ গলিপথে যাদের বাড়ী ঘর তাদের খোঁজ নেওয়ার তেমন কেউ নেই৷ প্রত্যেকেই সাধ্যমত ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় কিন্তু যা ত্রাণ বন্টন হচ্ছে তার বেশির ভাগই রাজপথে হচ্ছে৷ অলি-গলিতে যারা জলবন্দি তাদের কাছে সাহায্য খুবই কম পৌঁছচ্ছে৷ বিশেষ করে যারা বৃদ্ধ বা শিশু তাদের পক্ষে রাজপথে এসে কোন কিছু সংগ্রহ করা সম্ভব নয়৷ সরকারের পক্ষ থেকে যে ত্রাণ বিতরণ হচ্ছে তা কেবল ত্রাণ শিবিরে আশ্রিত মানুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ৷ তাই স্বেচ্ছাসেবী সংঘটন থেকে আরম্ভ করে সরকারের কাছে আমাদের আবেদন ‘‘রাজপথ ছেড়ে অলিগলিতে যান, অসহায় বানভাসিদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়ান৷
একই সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরী করে সরকারের কাছে তুলে ধরুন৷ সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর থাকা সত্ত্বেও তা অপরিকল্পিত৷ সরকারি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে৷ কোটি কোটি টাকার যে ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ী থেকে আরম্ভ করে সাধারণ মানুষের, সরকার তার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুক৷ দশদিন ধরে বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই৷ তাই ঘরে ঘরে মোমবাতি দেওয়ার পদক্ষেপ নিতেও আমরা আবেদন রাখছি৷
পরে এক বিবৃতিতে সাধন পুরকায়স্থ বলেন---মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শিলচরে দুবার ভ্রমণ করে বলে গেলেন,গুয়াহাটি থেকে বিশেষ প্রকৌশুলী দল শিলচরে এসে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে উদ্যোগ নেবে৷ কিন্তু আজ এগারো দিন অতিক্রম করে গেল এখনো বিস্তীর্ণ অঞ্চল অন্ধকারে ডুবে আছে৷ বাজারে মোমবাতির আকাল অন্যদিকে বিদ্যুতের অভাবে অন্ধকারে নিমজ্জিত৷ অন্ধকার দূর করার সরকারী কোন ব্যবস্থা নেই৷ এখনও অনেক গলিতে সাঁতার সমান জল থাকায় ও নৌকার অভাবে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি ত্রাণ নিয়ে পৌঁছুতে পারছেন না৷ সরকার তরফ থেকে এখনও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না৷ শ্রী পুরকায়স্থ বলেন--- আমাদের দাবী সরকার মানুষের সমস্ত অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা চালু করতে বিশেষ তৎপর হউক৷