ষাট বছর পূর্বে ১৯৫৭ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী মহাসম্ভূতি পরমপুরুষ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী কৃপা করে ইন্দাস গ্রামে পদার্পণ করেছিলেন৷ তিনি ১৬ই ফেব্রুয়ারী অধ্যাত্ম পিপাসু ভক্তবৃন্দের মাঝে আধ্যাত্মিকতা বিষয়ে প্রবচন দেন ও বরাভয় মুদ্রায় আশীর্বাদ করে সবাইকে কৃতার্থ করেন৷ সেই পূণ্য স্মৃতি উপলক্ষ্যে প্রয়াত আচার্য দেবনারায়ণ ঘোষালের পুত্র-কন্যাদের উদ্যোগে ও ইন্দাসের মার্গীভাইবোনেরা সবাই মিলে ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারী দুই দিন ব্যাপী ধর্মসভার আয়োজন করেন৷ ১৫ই ফেব্রুয়ারী সকাল ৮টা থেকে ইন্দাস আনন্দমার্গ আশ্রমে শুরু হয় ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন বীরভূম জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আনন্দমার্গী ও বহু ভক্তবৃন্দ সেই কীর্ত্তনে যোগদান করেন৷ কীর্ত্তন শেষে সমবেত ধ্যান ও গুরুপূজার পর স্বাধ্যায় করেন শ্রী মানবেন্দ্র ঘোষাল৷ ধর্ম ও সাধনা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য সৌম্যশুভানন্দ অবধূত, আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত, ভুক্তিপ্রধান কেশব সিংহ ও নিতাই মণ্ডল মহাশয়৷ এই অনুষ্ঠানের পর প্রয়াত আচার্য দেবনারায়ণ ঘোষালের বাসভবনে প্রভাতসঙ্গীত, কীর্ত্তন ও গুরুপূজার মাধ্যমে যে স্থানটিতে ১৯৫৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী পরমপিতা বাবা ধর্মমহাচক্র ও বরাভয় মুদ্রায় সবাইকে আশীর্বাদ করেছিলেন, সেই স্থানটিতে স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়৷ স্মৃতিফলক স্থাপন করেন প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ এই উপলক্ষ্যে তত্ত্বসভায় বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য সৌম্যশুভানন্দ অবধূত ও অনন্ত মালাকার৷ এরপর অনুষ্ঠিত হয় সদাব্রত৷ সদাব্রত অনুষ্ঠানে সমস্ত গ্রামবাসীকে আপ্যায়িত করা হয়৷ তারপর গ্রামে কীর্ত্তন পরিক্রমা হয় ও দরিদ্রদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়৷ সোমনাথ দত্ত মহাশয়ের পরিচালনায় কম্বল বিতরণ করা হয়৷
সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়