বীরভূমের ইন্দাসে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শুভপদার্পণ স্মরণ উৎসব

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৬ই ফেব্রুয়ারী ২০২২ বীরভূমের ইন্দাসে যোগীশ্বর শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শুভ পদার্পণ উৎসব উপলক্ষ্যে ভোর ৪ ঘটিকায় বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহযোগে ‘‘বাবা  নাম কেবলম্‌’’ তারকব্রহ্ম নাম সংকীর্ত্তন শুরু হয়? আনন্দমার্গ জাগৃতি থেকে শুরু হয়ে--- সমগ্র গ্রাম পরিক্রমা করে জাগৃতিতে পৌঁছে ঠিক ভোর ৫টায় পাঞ্চজন্য শুরু হয়---গ্রামের গৃহী আচার্য্য দেবনাথ ঘোষাল মহাশয়ের গৃহে ---যে পবিত্র স্থানে ভগবান শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী ১৯৫৭ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারী পশ্চিম বঙ্গের মধ্যে প্রথম ধর্মমহাচক্রে প্রবচন প্রদান করে বরাভয় মুদ্রায় সবাইকে আশীর্বাদ প্রদান করে ধন্য করেছেন৷ এই উপলক্ষ্যে  সেখানে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে ৮টা পর্যন্ত প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশিত হয়---উদ্বোবনী প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করে শ্রীমতি মনীষা গুহ৷ তারপর প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করে ঋত্তিক মণ্ডল, জয়িতা মণ্ডল, কোয়েল ঘোষাল,অর্নব ঘোষাল আরো অনেক ভক্ত, সাধক-সাধিকাগণ৷

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন--- ১) আচার্য মিত্রাক্ষরনন্দ অবধূত  আম্রপালন, মাঃ ইয়ূনিট৷ ২) আচার্য  কর্মেশ্বরানন্দ অবধূত  ইমাদপুর মাঃ ইয়ূনিট ৩) আচার্য  দেবোপমানন্দ অবধূত দাদা শিউড়ি আনন্দমার্গ স্কুল৷ ৪) অবধূতিকা আনন্দপ্রজ্ঞাবীনা আচার্যা শিউড়ি মাঃ ইয়ূনিট৷ সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই পবিত্র স্থানে৩ ঘন্টা অখণ্ড মধুর ‘‘বাবা নাম কেবলম্‌’’ সংকীর্ত্তন হয়৷ বেলা ১১টা থেকে ১ ঘটিকা পর্যন্ত ১৯৫৭ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারী বিষয়ে ভগবান শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী শুবপদার্পণ বিষয়ে মনোগ্রাহী প্রতিবেদন রাখেন---আচার্য প্রদীপদেব, শিল্পগুরু শ্রী অনন্ত মালাকার শ্রী মহাদেব সেন, শ্রীরামদাস বিশ্বাস৷ অনুষ্ঠানে হুগলী শ্রীরামপুর থেকে অনলাইনে বক্তব্য রাখেন ইন্দাসের একনিষ্ঠ আনন্দমার্গী পরলোকগত ডাক্তার শচীনন্দন মণ্ডলের কন্যা, বিশিষ্ঠ প্রাউটতাত্ত্বিক শ্রীপ্রভাত খাঁ’র স্ত্রী কল্যানী মণ্ডল৷ এই শুভানুুষ্ঠানে দূর দূরান্ত থেকে ভক্ত সাধক সাধিকা উপস্থিত হয়েছিলেন লাভপুর, কীর্ণাহার, বোলপুর শিউড়ি মল্লারপুর রামপুরহাট, দামড়া, নান্দোরা ও রুইপুর থেকেও বহু সাধক সাধিকাগণ অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন৷ সবশেষে নরনারায়ণ সেবায় প্রসাদ গ্রহণ করেন ৩০০ জন সাধক সাধিকাগণ৷