যে বিল নিয়ে সংসদ উত্তাল হয়েছে,দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে, সংসদে শাসকদলের স্পর্ধার কাছে পরাজিত হয়ে রাষ্ট্রপতির দারস্থ হয়েছেন বিরোধীরা, ২৭শে সেপ্ঢেম্বর বিরোধীদের আবেদন খারিজ করে বিতর্কিত সেই কৃষি বিলে সই করলেন রাষ্ট্রপতি৷ আইনে পরিণত হলো কৃষিবিল৷
প্রধানমন্ত্রী যদিও এই বিলে চাষীদের লাভ দেখছেন, বিরোধীরা তা মানতে রাজী নয়, তাদের মতে এই বিল কর্ষকদের সর্বনাশ করবে, এন.ডি.এর শরিক শিরোমণি অকালি দলও কৃষিবিলের প্রতিবাদে মন্ত্রীত্ব ও এন.ডি.এ জোট ত্যাগ করেছে৷
বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট হরনাথ মাহাত বলেন এই বিল কৃষি ক্ষেত্রে অবাধ পুঁজিপতি শোষনের দরজা খুলে দেবে৷ বাদামী সাহেবরা নব নীলকরের বেশে কর্ষকদের ঘাড়ে চেপে বসবে৷ নিজেদের প্রয়োজনের তাগিদে নয় কর্ষকরা চাষ করতে বাধ্য হবে ধনকুবেরদের মুনাফার স্বার্থে৷
আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাশ বলেন প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইনে আত্মনির্ভরতার অলীক স্বপ্ন দেখছেন, অথবা মানুষকে জেনে বুঝে ভুল বোঝাচ্ছেন৷ পুঁজিপতিদের লক্ষ্যই অধিক থেকে অধিকতর মুনাফা লোটা৷ প্রধানমন্ত্রী এমন বলছেন যেন কর্ষকদের জন্যে পুঁজিপতিদের দরদের সীমা নেই৷ বিরোধী দলগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন সত্যিই যদি কর্ষকদের প্রতি দরদ থাকে তবে অসার আন্দোলনের পথ ছেড়ে আগে প্রাউট পড়ুন, প্রাউট জানুন৷ শুধু কর্ষক নয়, সকল শ্রেণীর মানুষের সার্বিক কল্যাণের পথ খঁুজে পাবেন৷