প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন সারা বিশ্বের অর্থনীতিকে স্থবিরতা গ্রাস করেছে৷ ধনীর আয় দিন দিন ফুলে ফেঁপে উঠছে, গরীব আরও গরীব হচ্ছে৷ মুষ্টিমেয় ধনকুবেরের হাতে দেশের সিংহভাগ সম্পদ দখল হয়ে আছে৷ অর্থনৈতিক বৈসম্য আকাশ ছোঁয়া৷ গ্যাস পেট্রল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি গৃহস্থের সংসারে হাহাকার ফেলেছে৷ সমাজ সংসার জীবন জীবিকা স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ যদিও রাষ্ট্রের শাসকবর্গ অর্থনীতির এই দুরাবস্থার জন্যে কোভিড-১৯কে দায়ী করেছে, কিন্তু শ্রী খাঁ বলেন অর্থনীতিতে এই গতিহীন রোগ দু-এক বছরের নয়৷ আজ সারা পৃথিবীতে সামাজিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে মন্দার করাল ছায়া তা দু-এক বছরের নয়৷ পুঁজিবাদী আগ্রাসন, অর্থনীতির কেন্দ্রীকরণ, অতি সঞ্চয় ও অর্থনৈতিক বৈষ্যম্যের কারণেই অর্থনীতিতে মন্দার ছায়া৷ এই মন্দার ফলে মুদ্রাস্ফীতি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে৷ মানবজীবনের বিকাশ স্তব্ধ হয়ে যাবে! পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অবশ্যম্ভাবী ফল অর্থনীতির এই গতিহীন অবস্থা৷
শ্রী খাঁ বলেন---অর্থনীতিতে এই মন্দার প্রভাব সমাজ জীবনে ও শিল্প - সাহিত্য - সংস্কৃতির ওপর পড়বে৷ বাজারে বিকৃত সাহিত্য, চলচিত্র, নাচ-গানের রমরমা হবে৷ যা ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে৷ যার প্রভাবে ছাত্র যুব সমাজ মেরুদণ্ডহীন হয়ে যাচ্ছে৷ তারা বিকৃত সাহিত্য চলচিত্র,নাচ গান নিয়েই মেতে আছে৷ আজ ৫৫টাকার পেট্রল ১০০ টাকা পার হয়েছে৷ ৪৫০ টাকার গ্যাস ১১০০ টাকা হয়েছে, যুব সমাজের কোন হেলদোল নেই৷ ধনতান্ত্রিক ও সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অধিক মুনাফার লোভ, উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থার ত্রুটি অর্থনীতিতে বিপর্যয় ডেকে এনেছে৷ বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় প্রচলিত অর্থনীতি মানুষের সার্বিক বিকাশ ও অস্তিত্ব রক্ষার পরিপন্থি৷ এই মন্দা জনজীবনে ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলবে৷
শ্রী খাঁ বলেন এই অর্থনৈতিক বিপর্যয় চরমসীমা পৌঁছানোর আগেই রোখা যায় ও মন্দার সময়কাল কমিয়ে আনা যায় প্রাউটের বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করে অর্থনীতিতে গতি এনে৷
এরজন্যে প্রয়োজন বর্তমান পুঁজিবাদী আর্থিক ব্যবস্থার খোল-নলচে পালটে প্রাউট ভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা৷ শ্রী খাঁ প্রশ্ণ করেন পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রের শাসকবর্গ ও অর্থনীতিবিদরা কি সে পথে হাঁটবেন?