প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও ৮ই মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসের অনুষ্ঠান সাড়ম্বরে পালিত হ’ল৷ ৩রা মে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে থ্যালাসেমিয়া সম্বন্ধে সচেতনতার বক্তব্য রাখা হয়৷ এখানে সংঘটনের ‘থিম সং’ ‘বাঁচতে চাই, বাঁচতে দাও’ নামে একটি অডিও সিডির উদ্বোধন করেন সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের সম্পাদক সঞ্জীব আচার্য সহ কার্যকরী কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ৷ এই অডিও সিডির সঙ্গীত পরিচালনার মূল দায়িত্বে ছিলেন সংঘটনের সদস্য ও শিল্পী অভিষেক মিত্র৷ ওইদিন প্রেস ক্লাবে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত পরিবারের অভিভাবকগণ তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলেন৷
সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের তরফ থেকে ২০০৬ সাল থেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত প্রায় সোয়া তিন লক্ষ থ্যালাসেমিয়া বাহক রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে বলে সম্পাদক সঞ্জীব আচার্য মহাশয় জানিয়েছেন যা বেসরকারী হিসেবে সর্বাধিক৷ এই অনুষ্ঠানে ‘টোসো’ কোম্পানীর ইঞ্জিনিয়াররা থ্যালাসেমিয়া সম্বন্ধে বক্তব্য রাখেন৷ বক্তব্য রাখেন ডঃ কে.কে. ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য গুণীজনেরা৷
৩রা মে প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠান শুরু হবার পর থেকে ৮ই মে পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন ভাবে শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে থ্যালাসেমিয়ার প্রচার চলে৷ ৮ই মে মূল অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছিল রক্তদানের মধ্যে দিয়ে৷ প্রায় শতাধিক মানুষ বিভিন্ন স্থান থেকে এসে রক্ত দান করেন৷ এ এক অভিনবত্বের অঙ্গীকার৷ সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশিত হয় বিভিন্ন শিল্পীদের দ্বারা৷ সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের সম্পাদক প্রচার পর্বের প্রাসঙ্গিকতার কথা বলেন৷ এই কাজে কফি হাউস সোস্যাল সার্ভিস সহ বেশ কিছু সংঘটন ও শুভানুধ্যায়ী যুক্ত ছিলেন বলে বর্ণনা করা হয়েছে৷
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ‘আমি প্রধানমন্ত্রী হলে’ নামক বিষয়ের ওপরে আলোকপাত করেন বিশিষ্ট ব্যষ্টিবর্গ, এরা পুরস্কৃতও হন৷ জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির পরিসমাপ্তি ঘটে৷