উত্তর পাড়ার ছেলে অম্বর৷ কলকাতার রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের প্রাক্তন ছাত্র অম্বর বর্তমানে সুইডেনবাসী৷ তিনি বলেন,‘যখন খনি থেকে তেল তোলা হয়, দেখা যায় উপরে আগুন জ্বলছে৷ ওটি মিথেন গ্যাস৷ এই গ্যাস খুব হাল্কা৷ একে এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া কঠিন৷ তাই ক্ষতিকর গ্যাসটিকে পুড়িয়ে ফেলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও জল তৈরি করা হয়৷ কার্বন-ডাই-অক্সাইডও ক্ষতিকর, কিন্তু মিথেনের থেকে কম৷ তবে এই পদ্ধতিতে আদপে শক্তির অপচয় হয়৷’’ নতুন পদ্ধতিতে ক্ষতিকর মিথেনকেও ‘কার্যকরী’ করে তুলতে পারবেন বলে দাবি তাঁদের৷
উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর এক বিজ্ঞানী, এই গবেষণার প্রধান এক্সপেরিমেন্টালিস্ট রাফায়েল জের জানিয়েছেন, অনুঘটকটি (রোডিয়াম) একটি ঘন অক্টেন দ্রবণে নিমজ্জিত করা হয়েছিল৷ ধাতুর পরীক্ষা করে সেই অনুযায়ী তাঁরা কয়েক হাজার কার্বন-হাইড্রোজেন (-)বন্ড-এর মধ্যে থেকে যে বিশেষ কার্বন-হাইড্রোজেন বন্ডটিকে ভাঙা দরকার, সেটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন৷ অম্বর বলেন, ‘আমরা দেখিয়েছি, কী ভাবে বন্ড থেকে ধাতুর উপর প্রবাহিত চার্জ আঠার মতো কাজ করে ও দু’টি রাসায়নিক গ্রুপকে একত্রিত করে৷ আবার ধাতু থেকে-বন্ডের দিকে প্রবাহিত চার্জ একটি কাঁচির ন্যায় কাজ করে শেষ পর্যন্ত কার্বন এবং হাইড্রোজেন, এই দুটি অণুকে আলাদা করে দেয়৷’’