১৯৩৯ সালের শ্রাবণী পূর্ণিমার দিন কলিকাতার গঙ্গার তীরে কাশীমিত্র ঘাটে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী প্রথম দীক্ষাদান করেন কুক্ষাত এক ডাকাত কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী তখন বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্র, বয়স মাত্র ১৮ বছর৷
১৯৫৫ সালের ৯ই জানুয়ারী ছোট রেল শহর জামালপুরে আনন্দমার্গ নামের যে দীপশিখা শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী জ্বেলে ছিলেন তার শলতে পাকানো শুরু হয়েছিল ১৯৩৯ সালের শ্রাবণী পূর্ণিমায় কলিকাতার সেই কাশীমিত্র ঘাট থেকে৷
প্রথম দীক্ষাদানে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী প্রতীক হিসেবে বেছে নিলেন কালী ডাকাতকে৷ আসলে প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই অহরহ চলছে শুভ-অশুভ, মন্দ-ভালোর দ্বন্দ্ব৷ অশুভের বিনাশ ঘটিযে মানুষকে চলতে হবে শুভের পথে, আলোর পথে কল্যাণের পথে৷ সেদিন শ্রাবণী পূর্ণিমার সেই শুভ সন্ধ্যায় শুধু কালীচরণকেই নয়, বিশ্বমানবের সামনে খুলে দিলেন আলোর পথের দরজা৷
প্রতি বছর বিশ্বের সকল আনন্দমার্গীরা এইদিনে প্রথম দীক্ষা দিবস হিসেবে পালন করেন৷ এদিন মূল অনুষ্ঠান হয় কলিকাতার কাশীমিত্র ঘাটে৷ কোভিড-১৯ সংক্রমণ বিধি মেনে স্বল্প সংখ্যক ভক্ত মার্গীর উপস্থিতিতে ভোর পাঁচটা থেকে আটটা পর্যন্ত ৰাৰা নাম কেবলম্ অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ পরে এই দিনের তাৎপর্য সম্পর্কে বলেন আচার্য পরিতোষানন্দ অবধূত৷