বিশ্বকাপের আসরে এত চোট-আঘাত কেন?

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

বিশ্বকাপের মত বড়ো আসরে, যেখানে বিশ্বের সেরা দলগুলি পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে সেখানে প্রতিটি খেলোয়াড়েরই একশ’ শতাংশ সুস্থ থাকতে হবে৷ মনে রাখতে হবে কোনও একজনের ওপর একটি দলের সাফল্য নির্ভর করবে না, তেমনি কোন একটি একজন খেলোয়াড়ের অসুস্থতা বা খেলার মধ্যে ভুল করাটা সেই দলের কাছে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে৷ উদাহরণ হিসেবে বলা যায় একটি ক্যাচ মিস মানে ম্যাচ মিস হতে পারে, একটি রান আউট বা একটি স্ট্যাম্পের সুযোগ হাতছাড়া হলে দল বিপদে পড়তে পারে এমনকি সংশ্লিষ্ট দল পরাজিতও হতে পারে৷ তাই এই মহারণে একটি রান বাঁচানোর জন্যে শরীরকে ছঁুড়ে দিচ্ছেন খেলোয়াড়রা৷ তাই ক্রিকেটে এখন সেই সকল খেলোয়াড়েরাই সাফল্য পাবেন যাঁরা শারীরিকভাবে ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ থাকবেন৷

এই বিশ্বকাপে দেখা যাচ্ছে অনেক খেলোয়াড়ই চোট-আঘাত সমস্যায় পড়ছেন৷ ভারতের শিখর ধাওয়ান অষ্ট্রেলীয় বোলারের একটি হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বলে আঙুলে চোট পেলেন৷ চোট মারাত্মক হলে তিনি সেমিফাইনালের আগে ব্যাট করতে পারবেন না৷ বৃষ্টিভেজা মাঠে বলতে করতে গিয়ে ভারতেরই ভূবনেশ্বর কুমার চোট পেলেন হাঁটার ওপরের অংশে৷ সেই ম্যাচে তিনি আর মাঠেই রইলেন না৷ এরপর হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে  পরের অন্ততঃ দুটো ম্যাচে হয়তো খেলবেন ইংল্যান্ড ওপেনার জেসন রয়৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ফিল্ডিং করার সময়ই  হ্যামস্ট্রিংয়ে টান ধরে৷ যার জেরে  তিনি ব্যাট করতে  পারেন নি৷  এম আর আই হওয়ার পর জানা যায়,  তাঁর হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট  রয়েছে, যার অর্থ, আগামী কয়েকটি ম্যাচে তিনি ইংল্যাণ্ডের প্রথম ইলেভেনে অনিশ্চিত৷ আরও  আশঙ্কা, যদি  তাঁর অবস্থার উন্নতি না হয়, তা হলে আরও  ম্যাচে বসতে পারে তাঁকে৷ 

ওপেনার হিসাবে  জেসনের পরিবর্তে  টিমে  এসেছেন জেমস ভিন্সি৷ পরিবর্তিত  পরিস্থিতিতে জো রুট  তিন নম্বরে  খেলবেন৷

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে  পিঠের  পেশীতে টান ধসার্ছি ইংল্যাণ্ডের অধিনায়ক ইওন  মর্গ্যান৷ আশা করা যায় তিনি দ্রুত মাঠে ফিরবেন৷

বাঙলাদেশ ওয়েষ্ট ইণ্ডিজ ম্যাচে অ্যাণ্ড্রু রাসেল বেশ কয়েকবার নিজেরর শরীরের ভারসাম্য হাীরয়ে মাঠে পড়ে যান৷ পরে দেখা যায় তিনি খোঁড়াচ্ছেন৷ তাঁর চোট সামান্য নয়৷

প্রশ্ণ এটাই যে খেলোয়াড়রা কি চোট নিয়েই খেলতে এসেছেন নাকি ইংল্যাণ্ডের পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিতে তাঁদের সমস্যা হচ্ছে৷ একথা ঠিক যে ইংল্যাণ্ডে মাঝে মাঝেই যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছে, মাঠে জল পড়ছে---ভেজা মাটিতে অতিরিক্ত সাবধানতায় মন দিতে পারছেন না খেলোয়াড়রা, কারণ খেলার দিকেই তাঁদের একশ’ শতাংশ মনসংযোগ করতে হচ্ছে৷ চোট-আঘাত খেলারই অঙ্গ হলেও বিশ্বাকপ শুরু হওয়ার মাত্র কয়েকটি ম্যাচেই যদি চার-পাঁচ জন খেলোয়াড় খেলার মাঠে চোট পান তবে কয়েকটি প্রশ্ণ অবশ্যই উঠে আসছে৷ প্রথমতঃ পীচ তৈরীতে কোনও ত্রুটি থেকে থাকলে ব্যাটসম্যানকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে৷ দ্বিতীয়তঃ আউটফিল্ড অসমান থাকলে দৌড়নোর সময় চোট-আঘাত আসতেই পারে৷ তৃতীয়তঃ ঘাসের নীচে বৃষ্টির জল আটকে থাকার কারণে খেলোয়াড়দের হ্যামষ্ট্রিংয়ে চোট লাগার প্রবল সম্ভাবনা৷ তাই বলাই বাহুল্য আই.সি.সি.কে এ ব্যাপারে নজর রাখাটা খুবই জরুরী৷