গত ২১শে ডিসেম্বর থেকে ২৫শে ডিসেম্বর এই ৫ দিন ধরে বলান্টীয়ার্স সোস্যাল সার্বিসের V. S.S) কর্মী প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হ’ল ৷ এই ৫দিনের শিবিরে প্রায় ২০০ স্বেচ্ছাসেবী কর্মী যোগদান করেন৷ তাঁদের শারীরিক সুস্থতা, মানসিক শক্তিবৃদ্ধি ও তার সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে নিপীড়িত মানবতার সুষ্ঠুভাবে সার্বিক কল্যাণ করা যায় - তাঁর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ শিবিরে প্রতিদিন পিটি, প্যারেড , লাঠিখেলা, ক্যারাটে প্রভৃতির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ তাছাড়া ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্র্নমেন্টেরও ব্যবস্থা ছিল৷ শিবিরে মোবাইলের ব্যবহারের ওপর এক বিতর্কসভারও আয়োজন করা হয়েছিল৷ এই বিতর্ক সভা থেকে যে গুরুত্বপূর্ণ কথাটি উঠে এসেছিল তা হল আমরা যেকোনো বিজ্ঞানের অবদানকে যদি আমরা শুভপথে সদ্ব্যবহার করি তা নিশ্চয়ই মানুষের কল্যাণ করবে৷ তা না করলে তা ক্ষতিকর হয়ে উঠবে৷ তাই, মানুষের কর্তব্য নিজের মনকে সবসময় শুভপথে পরিচালনা করার জন্যে আত্মানুশীলন করা৷ এই শিবিরে বলান্টীয়ার্স সোস্যাল সার্বিসের আদর্শের ওপর তথা আদর্শ মানুষ হওয়া তথা আদর্শ সমাজসেবা ব্রতী হওয়ার জন্যে কী কী করা উচিত--- এ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশিক্ষক তাঁদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন৷ তাঁদের মধ্যে ছিলেন আচার্য মোহনানন্দ অবধূত, আচার্য ধ্যানেশানন্দ অবধূত, আচার্য বীতমোহানন্দ অবধূত, আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত প্রমুখ৷
২৫ তারিখে এক উপভোগ্য ‘সেরিমোনিয়্যাল প্যারেডের মধ্যে দিয়ে শিবিরটি সম্পন্ন হয়৷ এই শিবিরটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন আচার্য সর্বজয়ানন্দ অবধূত ও অন্যান্য বি.এস.এস এর কর্মকর্র্তগণ৷