বঙ্গ বাজেট ---প্রতিশ্রুতি পুরণের অঙ্গীকার

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

করোনা কালে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত৷ এমনিতে মোদি সরকারের ভ্রান্ত অর্থনীতির খেসারত দিতে হচ্ছে দেশবাসীকে৷ গোদের উপর বিষ ফোঁড়া করোনা৷ কর্মহীন অসহায় মানুষের বেঁচে থাকার রসদ জোগাড় করতে প্রয়োজন নগদ অর্থ৷ দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরাও মানুষের হাতে নগদ টাকা দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন৷ সেই দলে আছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুনাথ রাজন, অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ, নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ৷

কেন্দ্রের মোদী সরকার অবশ্য সেই পরামর্শে কান দেননি৷ রাজ্যের তৃণমূল সরকার অবশ্য ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সাধারণের হাতে অর্থ তুলে দিতে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প নিয়েছে৷ যদিও বিরোধীরা এই নিয়ে সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি৷ মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য সেসবে কর্ণপাত করেননি৷ সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে আগের রেকর্ড ভেঙে বিপুল বোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ নির্বাচনী প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন--- বাজেট প্রস্তাবে সেই প্রতিশ্রুতি পুরণের অঙ্গীকার রয়েছে৷ কৃষক বন্ধু প্রকল্প, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, দুয়ারে রেশন, মহিলাদের হাত খরচের জন্যে                   লক্ষ্মীভাণ্ডার প্রভৃতি সামাজিক প্রকল্প রূপায়ণে বাজেটে বরাদ্দ হয়েছে ১৮,৬৫০ কোটি টাকা৷

প্রস্তাবিত বাজেটে গ্রামোন্নয়ন, শিক্ষা, কৃসি, পানীয় জল প্রভৃতি সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িত সংস্থায় বরাদ্দ বাড়ান হয়েছে৷ বিনামূল্যে খাদ্য সরবরাহ প্রকল্প বজায় রাখতে বরাদ্দ হয়েছে ১৪০০ কোটি টাকা, দুয়ারে রেশন প্রকল্পে ১২০০ কোটি টাকা৷ করোনা সংক্রমণের দৈনিক হার অনেকটাই কমেছে৷ তবু তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছেই৷ তাই করোনা মোকাবিলায় বাজেটে ১৮৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে৷ যথারীতি বিরোধীরা বাজেটের সমালোচনায় সরব হয়েছেন৷ তবে বণিকমহল ও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বাজেটের ইতিবাচক দিকটাই দেখছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর কথায় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষার বাজেট৷ তিনি বলেন কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে৷