পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রীড়াবিদ তুলে আনার চেষ্টায় শ্রাচি গ্রুপ৷ তাদের সঙ্গেই যুক্ত হলেন লিয়েন্ডার পেজ৷ বিভিন্ন জায়গায় ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস, হকি-সহ একাধিক খেলার সুযোগ তৈরি করে দিতে চাইছে তারা৷ পরিকল্পনা রয়েছে কোচ তৈরি করারও৷ বিভিন্ন স্কুলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে খেলার পরিকাঠামো তৈরি করতে চাইছেন লিয়েন্ডারেরা৷ বৃহস্পতিবার সেই পরিকল্পনারই সূচনা হল কলকাতায়৷
শ্রাচি গ্রুপের ডিরেক্টর রাহুল টোডি নিজেও ক্রীড়াপ্রেমী৷ তিনি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সহ-সভাপতি৷ ইস্টবেঙ্গলের ক্রিকেট এবং হকি দলের সঙ্গে যুক্ত শ্রাচি গ্রুপ৷ রাহুল বললেন, ‘‘বারাসত, হলদিয়া, বর্ধমান-সহ ৭-৮টি জায়গায় আমাদের কাজ চলছে৷ কোথাও ৩২ একর জমি পেয়েছি আমরা, কোথাও ১৫ একর৷ সেখানে বিভিন্ন খেলার পরিকাঠামো তৈরি করা হবে৷ শুধু ক্রিকেট বা ফুটবল নয়, আমরা টেনিস, ব্যাডমিন্টন, কবাডি, হকি, তিরন্দাজি-সহ বিভিন্ন ইন্ডোর গেমসেরও ব্যবস্থা করব৷ আশা করছি পুজোর মধ্যে ৩-৪টে জায়গায় খেলা শুরু করা সম্ভব হবে৷’’ ভারতের লন বল দলের স্পনসর৷ রাহুল জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য বাংলা থেকে আরও বেশি ক্রীড়াবিদ তুলে আনা৷ সেটার জন্য কোচেদের প্রয়োজন বলে মনে করেন রাহুল৷ তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় ক্রিকেট দল সাফল্য পেতে শুরু করেছে ভারতীয় কোচেরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে৷ সব ক্ষেত্রেই সেটা প্রয়োজন৷ আমরা তাই শুধু খেলোয়াড় তৈরি করা নয়, কোচ তৈরির ক্ষেত্রেও নজর দেব৷ আমাদের পরিকল্পনাকে সঠিক দিশা দেওয়ার জন্য লিয়েন্ডার রয়েছেন৷ সন্দীপ পাটিলকে পাব আমরা৷ আরও অনেকের সঙ্গেই কথা বলছি৷ তাঁদের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে৷’’ শ্রাচি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে লিয়েন্ডার বলেন, ‘‘অলিম্পিক্সের পর্যায়ে পরিকাঠামো তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে৷ ছোট বয়স থেকে খেলোয়াড়দের তৈরি করতে হবে৷ শুধু খেলার পরিকাঠামো নয়, এখানে স্পোর্টস বিজ্ঞানী, চিকিৎসক এবং বিশ্লেষক রাখারও পরিকল্পনা রয়েছে৷ এমন পরিকাঠামো ভারতে আর কোথাও নেই৷ আমি খুবই আগ্রহী এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে৷ ক্রীড়া ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগও তৈরি করতে চাই আমরা৷’’