গত ১৪ই আগষ্ট শনিবার হাইলাকান্দি জেলার সাহেবমারা গ্রামের একটি স্কুলে পুনরায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে মিজো দুস্কৃতিরা৷ এছাড়াও অসম চুনীনালাতে রাস্তা নির্মাণের কাজও নতুন করে শুরু করেছে মিজোরা৷ এসবের পরেও অসম সরকার নীরব৷ মুখে তদন্তের কথা বলে দায় সেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সামগ্রিক ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে আবার তীব্র নিন্দা জানালো ‘আমরা বাঙালী’ অসম রাজ্য কমিটি৷
এক প্রেসবার্র্তয় সংঘটনের অসম রাজ্য কমিটির সচিব সাধন পুরকায়স্থ জানান, এখনো এরকম একটি উদাহরণ তৈরী হয়নি যেখানে অসম প্রদেশের নাগরিক বা পুলিশ প্রশাসন মিজোরামের জমি দখল করছে বা মিজো পুলিশ খুন করছে৷ বারবার মিজোরামের তরফ থেকেই আগ্রাসন হচ্ছে অসমের মাটিতে৷ এসব যদি চলতেই থাকে তাহলে অসমের দুই মন্ত্রী যে মিজোরামে গিয়ে যা শান্তিবৈঠক করে এলেন তার অর্থ কি? অসমের জমি তথা সীমান্ত এলাকার নাগরিকদের সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে কি তাহলে সরকার পারছে না? সাধন বাবু আরো বলেন, এর আগেও গতবছরে কাছাড় সীমান্ত এলাকার দুটি স্কুল মিজো দুষৃকতীরা বোমা মেরে উড়িয়েছে ও তা তাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করছে৷ যে লায়লাপুর সীমান্ত রক্ষা করতে গিয়ে ছ’জন অসম পুলিশকর্মী প্রাণ দিলেন সেখানেও মিজো প্রশাসন তাদের অবস্থান থেকে একচুলও নড়েনি৷ অসমের জমিতে এগিয়ে এসে যে পোষ্ট তারা বানিয়েছিল তা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে, এক ইঞ্চি জমিও অন্সম সরকার উদ্ধার করতে পারেনি৷ এর থেকে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে-কেন্দ্র ও অসম দুই সরকারেরই উপরিউক্ত ব্যাপারে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে৷ তাই অসমের জমি এভাবেই বেহাত হওয়ার পরেও সরকার-প্রশাসনের নীরবতা৷ এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না বলে যারা হুঙ্কার দিয়েছিলেন, সাহেবমারা ও লায়লাপুরের ঘটনা থেকে প্রমাণিত যে এসব ফাঁকা বুলি ছাড়া আর কিছুই নয়৷ সরকার এক্ষেত্রে পুলিশকর্মী তথা সাধারণ জনগণকে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার করেছে৷ কারণ যে পোস্টটি ফিরিয়ে আনতে গিয়ে পুলিশ জওয়ানরা প্রাণ দিলেন তা এখন অব্দি উদ্ধার করতে পারেনি সরকার৷ যারা এই নির্দোষ পুলিশদের হত্যা করল তাদের শাস্তির ব্যাপারেও নীরব সরকার৷
সাধনবাবু আরো বলেন, এই ঘটনার চিত্রনাট্য তৈরী হয় দিল্লীর নর্থ ব্লকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে অমিত শাহের নির্দেশে৷ গত ৫ তারিখ অসমের দুই মন্ত্রী অতুল বরা এবং অশোক সিংঘল আইজলে এসে মিজোরামে সরকারের সাথে শান্তি আলোচনার নামে সেই নাটক মঞ্চস্থ করলেন--- গত শনিবারের হাইলাকান্দির স্কুলে মিজোদের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাই তার প্রমাণ দেয়৷ ভবিষ্যতেও এই ঘটনা চলবে বলে মনে করেন তিনি৷ এই অবস্থায় ‘আমরা বাঙালী’ দল দাবী রাখছে--- অবিলম্বে, বাঙালী অধ্যুষিত বরাককে মিজো দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রক্ষা করতে কেন্দ্রীয় সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হোক৷