বর্জ্যের ক্রমাগত বৃদ্ধিতে পরিবেশ বিপজ্জনক মাত্রায় দূষিত হচ্ছে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জনবিস্ফোরণ, ভারসাম্যহীন প্রযুক্তির বহুল ব্যবহার প্রভৃতির কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ক্রমাগত বাড়ছে বর্জ্য পদার্থ৷ বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য পদার্থের মধ্যে কিছু বর্জ্য পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক৷ যেমন তেজস্ক্রিয় পদার্থ, রাসায়নিকভাবে সক্রিয়, দাহ্য, বিস্ফোরক, বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ---এসব কিছুই বিপজ্জনক বর্জ্য পদার্থ৷ কীটনাশক, রাসায়নিক সার, বিভিন্ন ওষুধ, নষ্ট ব্যাটারী,মেডিকেল বর্জ্য, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য এসব কিছুই ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিকর৷ বিপজ্জনক বর্জ্য সবসময় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ও তা থেকে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে৷ কিছু বর্জ্য দূষিত গ্যাস সৃষ্টি করে মারাত্মকভাবে পরিবেশকে দূষিত করে৷ এছাড়া বর্জ্য জীব বৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি করে, জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর প্রভাব ফেলে৷

অবশেষে  পরিবেশে জমা হওয়া বিপুল বর্জ্য কমাতে উদ্যোগী হল রাষ্ট্রপুঞ্জ৷ ২০১২ সালের ১৪ই ডিসেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৭তম অধিবেশনে এ বিষয়ে সচেতনতা প্রচারে একটি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়৷ এই দিনটি হল ৩০শে মার্চ৷ ২০২৩শে প্রথম ‘বর্জ্য শূন্য দিবস’ (ইন্টারন্যাশনাল ডে অব জিরো ওয়েষ্ট) পালন শুরু হল৷ উল্লেখ্য ‘জিরো ওয়েস্ট’ শব্দবন্ধটি প্রথম ব্যবহার করেন মার্কিন রসায়নবিদ পলপামার ১৯৭৩ সালে৷ বর্জ্যশুন্য উদ্যোগ রূপায়নের জন্য ঠিক করা হয় কিছু লক্ষ্যমাত্রা৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশ প্রকল্প বিভাগ (ইয়ূ.এন.ইপি) জানিয়েছে, সুষ্ঠু  বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে উৎসাহ দিতে হবে৷ বর্জ্য কমাতে হবে৷ বর্জ্য প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে৷ তবেই কমবে দূষণ, মোকাবিলা করা যাবে জলবায়ু সংকটের৷ জীব বৈচিত্র্যের সংরক্ষণ করা যাবে৷ একই সঙ্গে ব্যষ্টি ও রাষ্ট্রকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে৷ সুপরিকল্পিত ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বর্জ্যের পরিমান শূন্যে নামিয়ে  আনতে হবে৷