অসমে ১৯ লক্ষ বাঙালীকে নাগরিকত্বহীন করার প্রতিবাদে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যাণ্ডে ‘আমরা বাঙালী’ দলের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ সভা করা হয়৷ ‘আমরা বাঙালী’র মূল বক্তব্য ছিল --- অসমে অসমীয়ারাই প্রকৃত বিদেশী৷ এরা ব্রহ্মদেশ থেকে কয়েকশ’ বছর আগে পালিয়ে এসেছে৷ অসমের অধিকাংশ অঞ্চলও বাঙলার মাটি৷ সেই অসমে আজ বাঙালীরাই বিদেশী৷ একদিন যে বিদেশীদের বাঙালী রাজা আশ্রয় দিয়েছিল সেই বিদেশী অসমীয়ারা আজ স্বদেশী৷ ‘আমরা বাঙালী’ দলের সংঘটন সচিব খুশীরঞ্জন মণ্ডল বলেন---কেন্দ্রীয় সরকার লক্ষ লক্ষ বাঙালীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা সব কাগুজে বাঘ৷ ভারতে এন আর সি-র নামে বাঙালীকে বাঙলাদেশী বলা হচ্ছে৷ আবার বাঙলাদেশে গিয়ে সে কথা বলার সৎ সাহস নেই৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাঙলাদেশে গিয়ে বলেন, এন আর সি ভারতের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার৷ কারণ হাসিনা আগেই বলেছেন---ভারতে কোনও বাঙলাদেশী নেই৷ তাঁর মুখের ওপর কথা বলার সাহস কোনও ভারতীয় মন্ত্রীর নেই৷ খুশীবাবু আরও বলেন---এন আর সি যদি ভারতের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারই হয় তাহলে এই ১৯ লাখ বাঙালী যাবে কোথায়? তারা ভারতের নাগরিকই নয়৷ কেন্দ্রীয় সরকারের কেন এই দ্বিচারী আচরণ? ভারতে বলছে এরা বাঙলাদেশী আর বাঙলাদেশে গিয়ে উল্টো সুরে গান গেয়ে আসছে৷ আসলে এন আর সি নামে বিদেশী বাছাই একটি অজুহাত মাত্র৷ বাঙালী জাতিকে বিনাশ করাই কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য৷
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সুকুমার সরকার, রথীন্দ্রনাথ সাহা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷ বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অবিলম্বে এন আর সি বাতিল না হলে আমরা বাঙালী আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে৷ তখন যদি কোনও অঘটন ঘটে তার দায় কেন্দ্রীয় সরকারকেই নিতে হবে৷