ব্যাকটেরিয়ারও স্মৃতি শক্তি আছে৷ এই স্মৃতিশক্তির সাহায্যে সে নিজেকে অভিযোজিত করে নেয় ও অ্যান্টিবায়োটিককে প্রতিরোধ করে মানব শরীরে আক্রমণ করে৷ আমেরিকার টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মলিকিউলার বায়োসায়েন্স বিভাগের বাঙালী বিজ্ঞানী সৌভিক ভট্টাচার্য ও তাঁর দলের গবেষণালব্ধ এই তথ্য বিশ্বের অন্যতম সেরা বিজ্ঞান পত্রিকা প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল এ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস-এ প্রকাশিত হয়েছে৷
এই গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে ব্যাকটেরিয়ারও স্মৃতিশক্তি আছে৷ স্মৃতিশক্তির সাহায্যে নিজেকে অভিযোজিত করে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিহত করে৷
এই স্মৃতিশক্তি বংশ পরম্পরায় মাদার ব্যাকটেরিয়া থেকে ডটার ব্যাকটেরিয়ায় সঞ্চারিত হয়৷ ব্যাকটেরিয়ার দেহে লোহার পরিমানের সঙ্গে স্মৃতিরতারতম্য আছে৷ ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণা করে এই তথ্য জেনেছেন বিজ্ঞানীরা৷ গবেষণায় জানা গেছে মাত্র ২০মিনিটে কোলাইয়ের ডাবলিং হয়৷ দুঘন্টার মধ্যে চার প্রজন্মে ই-কোলাইয়ের মধ্যে স্মৃতি শক্তি সঞ্চারিত হয়ে যায়৷ দুঘন্টা পর্যন্ত তারা এই স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে পারে, তবে এই সময় এক একটি ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকে৷ বিজ্ঞানীদের মতে এই গবেষনালব্ধ তথ্য বিজ্ঞানীদের কাছে ব্যাকটেরিয়ার গতি-প্রকৃতি আরও স্পষ্ট হলো৷