মহালয়ার সকাল থেকেই উৎসব মুখর বাঙলা৷ তিলোত্তমাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনপন্থীদের উৎসব বয়কটের ডাক, দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বন্যা বিপর্যস্ত৷ সবকিছু উপেক্ষা করে মানুষ উৎসবের আমেজে গা ভাসিয়ে দিয়েছে৷ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিধবা ভাতার সঞ্চিত অর্থ নিয়ে দূর গ্রামাঞ্চল থেকে বহু মানুষ শহরমুখী৷ সকাল ১০টার পর থেকেই হাতিবাগান থেকে গড়িয়াহাট মানুষের ঢল নামছে, জেলা শহরগুলির চিত্র একই৷
শারদ উৎসব এখন আর শুধু উৎসব নয়৷ লক্ষ লক্ষ মানুষের রুটি-রুজির সম্পর্ক জড়িত শারদ-উৎসবের সঙ্গে৷ ডেকোরেশন মণ্ডপসজ্জা, মূর্ত্তি তৈরী পুজোর কদিন খাদ্য-সামগ্রীর দোকান এইসব ক্ষুদ্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত গ্রামবাঙলার লক্ষ লক্ষ মধ্যবিত্ত পরিবার৷ যারা সারাবৎসর অপেক্ষা করে থাকে শারদ উৎসবের আগমণের জন্যে৷
বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও আমরা বাঙালী নেতা শ্রী তপোময় বিশ্বাস বলেন---আর.জি.করের বর্বরোচিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে অমানবিক আন্দোলনের উদগাতারা বাস্তব বোধ বুদ্ধি হারিয়ে উৎসব বয়কটের ডাক দিয়েছে৷ শ্রীখাঁ প্রশ্ণ তোলেন এতে করে কি সমাজের সুচিতা ফিরে আসবে? সমাজ কি নররূপী দানবদের হাত থেকে মুক্তি পাবে? আন্দোলনকারীদের ভীড়েই লুকিয়ে আছে অপরাধীরা সেই আন্দোলন সমাজকে অপরাধমুক্ত করবে কীভাবে৷ শ্রীখাঁ বলেন সমাজকে অপরাধমুক্ত করতে হলে, মানুষকে সততার পথে পরিচালিত করতে হলে প্রয়োজন আধ্যাত্মিক জাগরণ, অন্য কোন পথ নেই৷