গত ৯ই অক্টোবর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মনিটারি পলিসি বৈঠকের শেষে গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি কমানো এখনই সম্ভব নয়৷ আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই দাম কমার কোন সম্ভাবনা নেই, বরং দাম আরও বাড়তে পারে৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর আরও জানান---পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরী হওয়ায়-তেল সহ বিভিন্নপণ্যের উপর তার প্রভাব পড়বে৷ সুতরাং খাদ্যপণ্যের সাথে অন্যপণ্যেরও মূল্যবৃদ্ধি হতে পারে৷ এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠবে৷ এতদিন শুধু হেঁসেলেই হিমসিম খাচ্ছিলেন গৃহিনীরা৷ এবার জ্বালানি পরিবহন ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়বে৷ মোদি সরকারের ব্যর্থতায় সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠবে৷
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেট না কমানো ব্যাঙ্কের ঋণ গ্রহীতা সাধারণ মানুষ আরও সঙ্কটে পড়বে৷ গত দুবছর ধরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেট ৬.৫ শতাংশ থাকছে৷ ব্যাঙ্কের ঋণগ্রহীতারা আশা করেছিলেন এবার হয়তো রেপো রেট কিছুটা কমাতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷ কিন্তু গভর্নর শক্তিকান্ত দাস তাদের হতাশ করে জানিয়েদেন রেপো রেট এখনই কমানো হচ্ছে না৷ ফলে ঋণশোধের মাসিক কিস্তি চড়া সুদেই দিতে হবে৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের স্পষ্ট উক্তি খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এখনই কমানো যাচ্ছে না, যাবেও না৷
আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির সংঘটন সচিব শ্রী তপোময় বিশ্বাস বলেন--- খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারাটা মোদী সরকারের চরম ব্যর্থতা৷ মোদি সরকার ধনকুবেরদের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ মুকুব করছে আর সাধারণ মানুষের ঘাড়ে ঋণের বোঝা চাপাচ্ছে এটাই মোদি সরকারের আচ্ছা দিন৷ তিনি বলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এইভাবে প্রকাশ্যে ব্যর্থতা স্বীকার করে মুনাফাখোরদের সুযোগ করে ছিল মুনাফা লোটার৷ পুঁজিপতি নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কোন আর্থিক পরিকল্পনায় সাধারণ মানুষের হাল ফিরবে না৷ এই রাষ্ট্র ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এনে প্রাউটের বিকেন্দ্রিত অর্থব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা ছাড়া বিকল্প পথ নেই৷