দুই ইনিংসে একের পর এক ব্যর্থতা সবথেকে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় কোচ দ্রাবিড়ের৷ তিনি দ্রুত নির্বাচকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান, কারণ তাঁর প্রশিক্ষণে বিদেশের তিনটি টেস্টেই ভারত বিফল হয়েছে৷
দ্রাবিড় এটা ভেবে অবাক হচ্ছেন যে, শেষ ক’বছর ভারত যে কাজটা ভালভাবেই সম্পন্ন করছিল, তা শেষ ক’মাসে পারছে না! তার একটা অবশ্যই অনেক কারণ আছে তার মধ্যে একটা হল নিজেেেদর খেলার তীব্রতা ধরে রাখতে না পারা৷ হয়তো আমাদের সর্র্বেচ্চ পর্যায়ের ফিটনেসও এ ক্ষেত্রে জরুরি৷ একই সঙ্গে টেস্টে সেরা পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতাও ফেরাতে হবে৷’’ তিনি মনে করছেন, এই মুহূর্তে ভারতীয় দলে সবচেয়ে উদ্বেগের জায়গা ব্যাটিং, ‘‘শেষে তিনটি টেস্টেই তৃতীয় ইনিংসে আমাদের ব্যাটিং প্রত্যাশিত উচ্চতায় পৌঁছোয়নি৷ দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যাণ্ডে আমরা শুরুটা ভাল করেও শেষটা ভাল করতে পারিনি৷ অবশ্যই এই জায়গাটায় আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে৷
দ্রাবিড় আরও বলেছেন--- ‘‘আমাদের কাছে প্রত্যেকটি ম্যাচ একটা শিক্ষা৷ বুঝতে হবে টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে কেন ভাল ব্যাট করতে পারলাম না বা কেন আমরা চতুর্থ ইনিংসে বিপক্ষের ১০ জনকে আউট করতে ব্যর্থ হচ্ছি৷’’ এখানেই থামেননি দ্রাবিড়, ‘‘আমাদের পরের ছ’টি টেস্ট খেলতে হবে উপমহাদেশে৷ দু’টি বাংলাদেশে৷ চারটি ভারতে৷ তাই সেই ম্যাচগুলো নিয়ে এখন থেকেই ভাবতে হবে৷ অবশ্যই কোচরা নির্বাচকদের সঙ্গে বসে এই হারের বিশ্লেষণ করবে৷’’ যোগ করেন, ‘‘প্রতিটি ম্যাচের পরেই এই ধরনের বিশ্লেষণমূলক পর্যালোচনা হয়৷ তাই আবার টেস্ট খেলার আগে পুরোপুরি নিজেদের তৈরি করে নিতে হবে৷’’
এদিকে প্রথমবার ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়ে হারের সাক্ষী থাকতে হল যশপ্রীত বুমরাকে৷ ম্যাচের পরে তিনি বলেছেন, ‘‘তিন দিন সুন্দর কাটার পরেও এই পরিণতি টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্যের দিকটিই আবার দেখিয়ে গেল৷ আসলে ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য আমরা ওদের ম্যাচের উপর জাঁকিয়ে বসার সুযোগ করে দিয়েছিলাম৷ এখানে হারতে হলেও আমরা কিন্তু সিরিজটা ড্র-ও করেছি৷