কলকাতায় এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগেই বছর ৩৭ বয়সি সুনীল ছেত্রীর অবসরের ইঙ্গিত তিনি দিয়েছিলেন৷ হংকংয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন সোমবার দুপুরে যুবভারতীতে এক সাংবাদিক বৈঠকে অধিনায়ককে পাশে বসিয়েই ইগর বলেছিলেন ‘আন্তজাতিক ম্যাচে ১০০তম গোল করার আগে আমি সুনীলকে কোন মতেই অবসর নিতে দেব না৷ ওর যা মানসিকতা, তাতে ও নিজেও এই লক্ষ্যপূরণ না করে ফুটবলকে বিদায় জানাবে বলে আমি মনে করি না৷ অবসর নিয়ে ওঁকে যেন আর প্রশ্ণ করা না হয়’৷ এরপরেই যোগ করেন, ‘‘ফুটবলের প্রতি সুনীলের যা দায়বদ্ধতাৃ তার কোনও তুলনাই হয় না৷ তাছাড়া ওর শারীরিক সক্ষমতাও দুর্দান্ত৷ পাশাপাশি পরিবারের যে সমর্থন ও পায়, তার কোনও তুলনাই নেই৷’ এখানেই শেষ নয়৷ ক্যামেরুন কিংবদন্তি রজার মিল্লার উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ভুলে যাবেন না ১৯৯০ বিশ্বকাপে ৪২ বছর বয়সে রজার মিল্লা গোল করেছিলেন৷
তাঁর প্রতি কোচের আস্থা দেখে তিনি সত্যি অভিভূত সুনীল৷ তবে তিনি যে এই মুহূর্তে শুধু হংকংকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে যোগ্যতা অর্জন করা ছাড়া কিছুই ভাবছেন না, জানিয়ে দিয়েছেন স্পষ্ট করে৷ ভারত অধিনায়কের কথায়, ‘‘আগের ম্যাচে আমরা যেখানে শেষ করেছিলাম, সেখান থেকেই শুরু করতে হবে৷ কোচ বলে দিয়েছেন, যোগ্যতা অর্জন পর্বে আমাদের সেরা হতেই হবে৷ তাই অতীত ভুলে এখন আমাদের এই একটা ম্যাচেই মনোনিবেশ করতে হবে৷ যোগ করেন ‘এর আগে দু’বার আমরা মূলপর্বে খেলেছি৷ ফের তার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চাই৷ এই প্রতিযোগিতা এশিয়ার দেশগুলির কাছে বিশ্বকাপের মতো৷ এশিয়ার সেরা দেশগুলোর সঙ্গে মাঠে নামার অনুভূতিটা ঠিক কীরকম, তা জানি৷’’