নেতাজী সুভাষচন্দ্রের ১২৫ তম জন্মদিনে নেতাজীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকার আয়োজিত অনুষ্ঠান তাই আমন্ত্রিতরা বিশেষভাবে নির্বাচিত৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন৷ তিনি বলতে উঠতেই আমন্ত্রিতদের কয়েকজন অসভ্যের মত ‘জয় শ্রী রাম ধবনি’ দিতে শুরু করে৷ স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য না রেখে বসে পড়েন৷
দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে কেন্দ্রীয় শাসক দলের কিছু সমর্থকদের এই অভদ্র আচরণের৷ সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে দেশনায়কের জন্ম জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় শাসক দলের সমর্থকদের এই অসভ্য আচরণের নিন্দায় মুখর হন৷
‘আমরা বাঙালী’ দলের কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী বকুল রায় এই ঘটনার নিন্দা করেন বলেন---কাউকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এই এধরণের আচরণ বঙ্গ সংসৃকতির বিরোধী৷ প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তাঁর দলীয় সমর্থকদের এই অসভ্য আচরণ গুজরাটে নিন্দনীয় না ও হতে পারে, বাঙলার মানুষ এই আচরণ মেনে নিতে পারে না৷ শ্রী বকুল চন্দ্র রায় বলেন--- নেতাজীকে শ্রদ্ধা জানাতে এসে প্রধানমন্ত্রী সমস্ত বাঙালী জনগোষ্ঠীকে অসম্মান করে গেলেন৷ এরপর কোন বিজেপি নেতার মুখে বাঙলা বাঁচাও স্লোগান মানায় না৷