ভূস্বর্গে ব্যর্থ সরকারের শাসনে কেন্দ্রের শাসন কায়েম হয়েছে পুনরায়, তাই জনগণ আশা করে কিছুটা শান্তি

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সমস্যা সংকুল জম্মু-কশ্মীরে বিজেপি সমর্থিত পিডিপি সরকারের পতন ঘটলো ১৯শে জুন৷ কারণ বিজেপি দল মেহেবুবা মুফতির সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেয়৷ এরপর মেহেবুবা রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করেন৷ এই জম্মু-কশ্মীরে গত ২০০৮, ২০১৫, ২০১৬ ও বর্ত্তমান রাজ্যপালের শাসন চালান বর্তমানের রাজ্যপাল মিঃ এন.এন ভোরা ৷ এবারে তাঁর ২য় বারের শাসন কালের মাত্র কয়েকদিন আছে যদিও তিনি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আপাততঃ ২৬ শে আগষ্ট পর্যন্ত অমরনাথ যাত্রা পর্যন্ত রাজভবনে থেকে যাবেন৷ হয়তো তাঁর রাজ্যপালের মেয়াদ বেড়ে যেতে পারে৷ এই ভূস্বর্গে বিধানসভা নির্র্বচন মনে হয় আগামী ২০১৯-এর প্রথম দিকে একসঙ্গে লোকসভা নির্বাচন হতে পারে৷

ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে যেভাবে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসন চলে সেই কাঠামোতে সংবিধান মতে ভারত ধর্ম (ধর্মমত) নিরপেক্ষ রাষ্ট্র৷ তবে এই ভূস্বর্গ (জম্মু ও কশ্মীর) কিন্তু অনেক ব্যাপারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করে সেটা সকলের অজানা নয়৷ গরিব ভারতের রক্তজল করা কর বাবদ অর্থ এই ভূস্বর্গের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অকাতরে ব্যয় করে থাকে৷ আর পাকিস্তানি প্রতিবেশীদের এক নাগাড়ে জঙ্গী আক্রমণে ও সীমান্তে পাকিস্তানী সৈন্যের আক্রমণে এদেশের জোয়ান ও জনগণ প্রাণ হারাচ্ছেন! আর এখানকার রাজ্যসরকারও তেমন দক্ষ নয়৷ অধিকাংশ সময় নড়বড়ে৷ এই এলাকার আয়ের উৎস মূলতঃ পর্যটন শিল্প৷ কেন্দ্রকে অনেক ব্যাপারেই অনুদান দিতে হয়৷ বলতে দ্বিধা নেই যে এই ভূখণ্ডটি ভারতের শরীরে এক দুরারোগ্য ব্যাধির মতোই আজন্ম বিদ্যমান৷

তাছাড়া , পাকিস্তান জোর করে কশ্মীরের প্রায় এক তৃতীয়াংশ ছিনিয়ে নিয়ে ‘আজাদ কশ্মীর’ নামে ভোগ দখল করছে অবৈধভাবে ৷ ইউ.এন ও নীরব দর্শক৷

তাঁদের উপদেশ, দুই রাষ্ট্র আলাপ আলোচনার করে মিটমাট করুক৷ পাকিস্তানের দোসর চীন এই এলাকায় মাথা গলিয়ে অশান্তি করে চলেছে৷ ভারত উত্তর পশ্চিম সীমান্তে এক চরম সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে৷ সীমান্তে বিভিন্ন রাজ্যের তরতাজা তরুণ জোয়ানরা প্রাণ হারাচ্ছেন৷ কশ্মীরের হিন্দুপণ্ডিতগণ রাজ্যছাড়া হয়ে উদ্বাস্তুদের মত জীবন যাপন করে চলেছেন৷ সরকার এঁদের মাতৃভূমিতে ফেরৎ পাঠাতে পারেননি ভারত কেশরী শ্যামপ্রসাদের অকালমৃত্যুর অদ্যাবধি কোন তদন্ত হলো না৷ এই মাটিতে সাংবাদিক ও তাঁর দেহ রক্ষীদের সম্প্রতি যে হত্যা করা হয়েছে সেটাও বড়ই মর্র্মন্তিক, বেদনাজনক ঘটনা৷

দুঃখের কথা বিজেপি ও পিডিপি সরকার এখানকার সমস্যার কোন সমাধান করতে সবম হননি৷ পদত্যাগকারী মুখ্যমন্ত্রীর শাসনকালে মানুষ নোতুন কোনো আশার আলো দেখতে পায়নি৷  বরং মনে হয় কোন অদৃশ্য কারণে পাকিস্তান আগের চেয়ে অনেক বাড়াবাড়ি করেছে ভারতের মাটিতে আর পাকিস্তানপন্থী দলগুলো ‘ইনধন’ যুগিয়েছে পাকিস্তানী জঙ্গীদের৷ পরিশেষে দেশ আশা করে রাজ্যপালের শাসনে যেন এই এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ কিছুটা শান্তিতে বসবাস করতে সবম হয়৷