আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে জটিলতা মিটে যাবে৷ আশাবাদী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)৷ সংস্থার সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লর আশা, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) দ্রুত সমাধান সূত্র পাবে নির্বিঘ্নে প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হবে৷ একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বিসিসিআই৷
আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের পাকিস্তানে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত আগেই আইসিসিকে জানিয়ে দিয়েছিল বিসিসিআই৷ দল না পাঠানোর প্রধান কারণ যে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা, তা আরও পরিষ্কার করে দিয়েছেন শুক্ল৷ বিসিসিআই সহ-সভাপতি বলেছেন, ‘‘আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা৷ ক্রিকেটারদের পাঠিয়ে আমরা ঝুঁকি নিতে পারি না৷ আমরা সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী৷’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘বিসিসিআই চায় প্রতিযোগিতা হোক হাইব্রিড মডেলে৷ আইসিসি চেয়ারম্যান বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন৷ তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন৷ আমাদের আশা, ভারত এবং পাকিস্তান উভয় দেশ কোনও রকম তিক্ততা ছাড়াই সম্মত হবে এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধান পাওয়া যাবে৷’’
আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান৷ এক দিনের ক্রিকেটে সেরা আটটি দল অংশগ্রহণ করবে৷ মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ৷ বহুদলীয় প্রতিযোগিতা ছাড়া পরস্পরের মুখোমুখি হয় না দু’দল৷ শুধু তাই নয়, মুম্বইয়ের ঘটনার পর থেকে পাকিস্তানে পাঠানো হয় না ভারতীয় ক্রিকেট দলকে৷ সে দেশে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রীয় সরকারের৷ তাই ২০২৩ সালের এশিয়া কাপের সময়ও পাকিস্তানে দল পাঠায়নি বিসিসিআই৷ প্রতিযোগিতা হয়েছিল হাইব্রিড মডেলে৷ আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও সে ভাবে করার দাবি তুলেছে বিসিসিআই৷ যদিও গত বছর এক দিনের বিশ্বকাপের সময় ভারতে বাবর আজমদের পাঠিয়েছিল পিসিবি৷