ছত্তিসগড়ের মিড ডে মিল নিয়ে উঠছে প্রশ্ণ? দেওয়া হচ্ছে সাদা ভাত ও হলুদগুঁড়ো

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

পাতে নেই কোনও ডাল বা সব্জি৷ এমনকি পুষ্টিকর কোনও খাবারও৷ তার পরিবর্তে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলে পাতে পড়ছে সাদা ভাত আর তার উপর ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে হলুদের গুঁড়ো৷ ছত্তীসগঢ়ের একটি স্কুলে পড়ুয়াদের এই ধরনের মিড ডে মিল ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে৷

বলরামপুরের বিজাকুরা গ্রামের বিজাকুরা প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা৷ স্কুলের ৪৪ জন পড়ুয়ার জন্য যে মিড ডে মিল বরাদ্দ হয়েছে, তা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে তাদের৷ শুধু তা-ই নয়, স্কুল কর্তৃপক্ষও আবার দাবি করেছে, এক সপ্তাহ ধরে স্কুলে কোনও সব্জিই খেতে দিতে পারছেন না মিড ডে মিলে৷ স্কুলের প্রধান শিক্ষক এই ঘটনার জন্য মিড ডে মিল সরবরাহকারীদেরই দায়ী করেছেন৷ অন্য দিকে, আবার মিড ডে মিল সরবরাহকারীরা পাল্টা দাবি করেছেন, তাঁদের পাওনা মেটানো হচ্ছে না৷ পরস্পরের দিকে দায় ঠেলাঠেলির মাঝে পড়ে শিশুরা কেন তাদের প্রাপ্য মিড ডে মিল থেকে বঞ্চিত হবে, তা নিয়ে প্রশ্ণ উঠতে শুরু করেছে৷ এমনকী এই ঘটনার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যেও পারস্পরিক দোষারোপের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ স্কুলের মিড ডে মিলের রাঁধুনি সুখিয়া দেবী দাবি করেছেন, ঠিক মতো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না৷ কখনও শুধু ডাল আসছে, কখনও শুধু চাল৷ সব্জি তো আসছেই না৷ জেলা শিক্ষা আধিকারিক দেবেন্দ্র নাথ মিশ্র এই ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন৷ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

এই ঘটনাই উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলের মিড ডে মিলের প্রসঙ্গ উস্কে দিয়েছে৷ ২০১৯ সালের ঘটনা৷ উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের এক সরকারি স্কুলে বেশ কিছু দিন ধরেই পড়ুয়াদের পাতে শুকনো রুটি আর সব্জির বদলে শুধু নুন দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে৷ গোপন সূত্রে খবরটা পেয়েছিলেন স্থানীয় এক সাংবাদিক৷ তিনি ঘটনাটির ভিডিয়ো ও ছবি তোলেন৷ তার পরই সেটা ভাইরাল হয়ে যায়৷ মিড ডে মিল নিয়ে যখন কেন্দ্র নানা রকম পদক্ষেপ করছিল, ঠিক সেই সময়েই রাজ্যের একটি স্কুলের এমন ছবি সামনে আসায় বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যোগী আদিত্যনাথের সরকার৷ স্কুলে মিড ডে মিলের ছবি তোলার অভিযোগে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে উত্তরপ্রদেশ সরকার৷ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যে এফআইআর করা হয় তাতে বলা হয়েছিল, যে দিন ভিডিয়োটি তোলা হয় সে দিন স্কুলেই রুটি বানানো হয়েছিল৷ সব্জির ব্যবস্থা করার কথা ছিল গ্রামপ্রধানের৷ কিন্তু তিনি তা না করে স্থানীয় এক সাংবাদিককে ডেকে এনে ভিডিয়ো শুট করান৷ পঞ্চায়েত প্রধান এবং ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনে স্থানীয় প্রশাসন৷