দাও ফিরে সে অরণ্য

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ইটের পাঁজর লোহার খাঁচায় বন্দী কক্ষে  বসে কবি লিখেছিলেন---‘‘দাও ফিরে সে অরণ্য লহ এ নগর’’৷ কিন্তু মানুষ তার সাময়িক প্রয়োজনে ভবিষ্যৎ পরিণতির কথা না ভেবে নির্বিচারে অরণ্য ধবংস করে যাচ্ছে৷ ফল যা হওয়ার হচ্ছে৷ অবস্থা এমন পর্যায় পৌঁছেছে যে আগামী প্রজন্ম অরণ্য শব্দটাই হয়তো ভুলে যাবে৷ ‘অরণ্যে রোদন’কথাটির অর্থই বুঝতে পারবে না৷

সম্প্রতি এক পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে ভারতে প্রতি বছর ২৩ লক্ষ হেক্টর বনভূমি ধবংস হচ্ছে৷ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ন্যাশন্যাল রিমোট সেন্সিং এজেন্সি, হায়দ্রাবাদ৷ ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকেও  জানানো হয় ভারতে এখনও পর্যন্ত ২ কোটি ৫৮ হাজার হেক্টর অরণ্য ধবংস হয়ে গেছে৷ পরিণতিতে জল, হাওয়া, প্রাকৃতিক পরিবেশেও সামঞ্জস্য বিঘ্নিত হচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞ দের অভিমত এইভাবে অরণ্য ধবংস হতে থাকলে বাস্তুতন্ত্র ও প্রাণীবৈচিত্র্য বিপন্ন হয়ে পড়বে৷

অরণ্য ধবংসে পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে নেই৷ বরং ওড়িশা,মধ্যপ্রদেশকে পিছনে ফেলে পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে গেছে৷ ওড়িশায় বনভূমি ধবংস হয়েছে ১কোটি ২৮ লক্ষ হেক্টর, মধ্যপ্রদেশে ১কোটি ২৯ লক্ষ সেখানে পশ্চিমবঙ্গে শেষ পাওয়া পরিসংখ্যান পর্যন্ত বনভূমি ধবংস হয়েছে ১কোটি ৪৭ লক্ষ হেক্টর৷ নির্বিচারে গাছ কাটা, অরণ্য ধবংস করে বসতি স্থাপন, কাঠের চোরা চালান অরণ্য ধবংসের অন্যতম কারণ৷  অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে এসব বন্ধ না করলে ও নূতন করে বনসৃজন না করলে জীবকূলের বিপদ ঘনিয়ে আসবে৷