দধিচী রবি সরকার স্মরণে

সংবাদদাতা
কোচবিহার থেকে সন্তোষ মোদক
সময়

আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে ১৯৬৯ সালের ২৯শে আগষ্ট কোচবিহার মহারাজা জগদ্বিপেন্দ্র নারায়ণ হাসপাতালে দেহত্যাগ করেন বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী রবি সরকার৷ আগের দিন ২৮শে আগষ্ট কোচবিহারে ধর্মমহাচক্র করতে আসেন গুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি৷ সেই সময় ধর্মমহাচক্র বন্ধ করতে কমিউনিষ্ট গুণ্ডা বাহিনী সুপরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করে মার্গগুরুদেবের আবাসস্থল, ধর্মমহাচক্রস্থল গায়ত্রী দেবী সঙ্গীত বিদ্যালয় ভবনে৷ হামলাকারীদের রুখতে কয়েকশ’ মার্গী ভাই-বোনের প্রাণ বাঁচাতে হামলাকারী কমিউনিষ্ট গুণ্ডাবাহিনীর দিকে এগিয়ে যান প্রয়াত রবি সরকার৷ গুণ্ডাবাহিনীর আঘাতে গুরুতর আহত হন রবিদা সহ আরও কয়েকজন৷ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ পরদিন ২৯শে আগষ্ট তাঁর জীবনদীপ নির্বাপিত হয়৷ এইদিন তাঁর স্মৃতিচারণে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মার্গী ভাইবোন দাদা-দিদি  সমবেত হয়েছিলেন কোচবিহার নিউটাউন আনন্দমার্গ স্কুলে৷ উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত রবি সরকারের স্ত্রী-পুত্র-ভাগ্ণি সহ পরিবারের অনেকে৷

প্রভাতসঙ্গীত, কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর সেদিনের ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রয়াত রবি সরকারকে বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীপ্রদীপ সরকার, মহাদেব মল্লিক, দিলীপ সাহা ও সন্তোষ কুমার মোদক প্রমুখ৷