ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ব্যর্থ, অবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া সরকারের অপদার্থতা ও ব্যর্থতা বলে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বাঙালী যুব সমাজের কেন্দ্রীয় সচিব  তপোময় বিশ্বাস৷

এক প্রেস বিবৃতিতে  তপোময় বিশ্বাস বলেন, সংশ্লিষ্ট মহলের হিসেব অনুযায়ী, এ বছরে এই নিয়ে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৪৯৷ আক্রান্তের সংখ্যাও ৪০ হাজার পার৷ ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ও পুরসভা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না৷ এই ঘটনাক্রম নতুন কিছু নয় বিগত কয়েক দশক ধরে বর্ষা এলেই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়৷ বহু মানুষ অকালে প্রাণ হারায়৷ তারপরে সরকার কেন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অক্ষম? ড্রেনে জমা জল জমতে না দেওয়া, সপ্তাহে সপ্তাহে মশানিধোরক স্প্রে করার নির্দেশাবলি থাকলেও পুরসভাগুলি তা যথাযথ পালন করছে কি না তা দেখা  হয় না৷ নিয়মিত জনমানসে ডেঙ্গি সচেতনাটুকু করা হয় না ঠিকভাবে৷ রাজ্য সরকারের সিম্বল সহ ডেঙ্গি সচেতন বার্র্ত নিয়ে কয়েকটি ব্যানার বা দেওয়াল লিখনেই দায় সারছেন সরকারের কর্তারা৷ সরকারের উদাসীনতায় ডেঙ্গিতে প্রচুর মানুষ মারা গেছে৷ এই মৃত্যুর দায় সরকারের ঘাড়েই বর্তায়৷ আমাদের দাবী-অবিলম্বে রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি মোকাবিলায় সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে৷ ড্রেন গুলোয় বৃষ্টির জমাজল নিয়মিত নিষ্কাশন করতে হবে, প্রতি সপ্তাহে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশানিধোরক স্প্রে ও সচেতনতা বাড়াতে হবে৷ স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত ইত্যাদি জায়গায় আবর্জনা, জল জমতে না দেওয়ার নির্দেশ কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ও পালন করা হচ্ছে কিনা  সেটা দেখতে হবে৷ স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের বিনামূল্যে ওডোমস প্রদান করতে হবে৷ অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া ও ফুটপাতবাসীদের বিনামূল্যে মশাড়ি দিতে হবে৷ জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তপোময়ের আশ্বাস, অযথা আতঙ্কিত হবেন না, ডেঙ্গিতে এখন বাড়ীতে থেকেই সুস্থ হওয়া সম্ভব৷ মশারি টাঙ্গান, জ্বর হলে প্যারাসিটামল খান, পেপে পাতার রস খান৷ বাড়াবাড়ি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন৷ আমরা আপনাদের পাশি আছি৷