দেশে কয়লা সঙ্কট তীব্র হচ্ছে৷ আগামী তিনমাসে সেই সঙ্কট আরও বাড়বে৷ যা অনুমানের পূর্বাভাসের থেকেও প্রায় ১৫ শতাংশ বেশী হবে৷ কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের আভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে জুলাই থেকে সেপ্ঢেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতে কয়লার জোগান প্রয়োজনের তুলনায় ৪কোটি ৪৫লক্ষ টন কম হতে পারে৷ যা আগের পূর্বাভাসের থেকে ১৫ শতাংশ কম৷ বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির হার গত ৩৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ৷ তাই আগামী ত্রৈমাসিকে কয়লার চাহিদা হতে পারে ১৯কোটি ৭৩ লক্ষ টন৷ কিন্তু কয়লা উৎপাদনের পরিমান হতে পারে ১৫কোটি ৪৭লক্ষ টন৷
প্রবীণ প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন---শুধু কয়লাই নয়, সামগ্রিকভাবে ভারতীয় অর্থনীতি পঙ্গু ও গতিহীন হয়ে পড়েছে৷ তিনি এর জন্যে পরিকল্পনাকারীদের অজ্ঞতা ও দূরদৃষ্টির অভাবকেই দায়ী করেছেন৷
শ্রী খাঁ বলেন---প্রাউট দর্শনের প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন--- ‘‘অর্থনীতি হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগভৌমিক বিজ্ঞান৷’’ কিন্তু ভারতের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা আজও কোন সুস্পষ্ট নীতির ওপর গড়ে ওঠেনি৷ বরং ক্ষুদ্র ও সংকীর্ণ ভাবাবেগকে প্রশ্রয় দিয়ে তৈরী অর্থনৈতিক পরিকল্পনার বিষময় ফল আজ শুধু কয়লা নয় সর্বক্ষেত্রে প্রকট হচ্ছে৷ প্রাউটের দৃষ্টিকোন থেকে অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় কোন বস্তুর উপযোগ নেবার সময় শুধু প্রয়োজনের কথা ভাবলেই হবে না, তার আস্তিত্বিক মূল্যের কথাও ভাবতে হয়৷ কিন্তু ভারতীয় অর্থনীতিবিদদের এ বিষয়ে কোন চিন্তা ভাবনা আছে বলে মনে হয় না৷ তাছাড়া কাঁচামালের আমদানি-রপ্তানির ওপর নির্ভর করে পরিকল্পনা তৈরী করাও অর্থনীতিতে চরম মুর্র্খমী৷ তিনি বলেন বাহিরে থেকে কোন পণ্য আমদানি করে শিল্প গড়ে তুললে তা যে কোন সময় সঙ্কটে পড়তে পারে আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে৷ অপর দিকে দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা না ভেবে কাঁচামাল রপ্তানি করলে দেশে সঙ্কট তৈরী হবে৷ আজ কয়লার ক্ষেত্রে তাই হয়েছে৷ শ্রী খাঁ দাবী করেন কয়লা সহ সামগ্রিকভাবে পুঁজিপতিদের তৈরী কৃত্রিম আর্থিক সংকট বেরিয়ে আসতে হলে কেন্দ্রীত অর্থনীতিকে বর্জন করে প্রাউটের বিকেন্দ্রিত পথে অঞ্চলভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়ে তুলতে হবে৷ অবশ্যই স্থানীয় কাঁচামালের ভিত্তিতে করতে হবে৷