দেশের প্রায় অর্ধেক সাংসদ ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে জয়ী সাংসদদের প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি সাংসদ ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত৷ এস্যোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্ম নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তথ্য বিশ্লেষন করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী গত ৪টি লোকসভা নির্বাচনে ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত সাংসদের সংখ্যা ক্রমবর্দ্ধমান ২০০৯ সালে অভিযুক্তর সংখ্যা ছিল ১৬২জন, ২০১৪ সালে এই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮৫ জন, ২০১৯ সালে বেড়ে হয় ২৩৩ জন, ২০২৪ সালে ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধির সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫১জন৷

বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন---অভিযোগ থাকলেই কাউকে দোষী বলা যায় না৷ কিন্তু যাঁরা জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণের সেবায় আত্ম নিয়োগ করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গণতন্ত্রের পক্ষে মোটেই গৌরবের নয়৷ রাজ্যে ও দেশের বহু নেতা মন্ত্রী দুর্নীতির দায় নানা সময় জেলে গেছেন এখনও অনেকে জেলে আছেন৷ শ্রী খাঁ এই প্রসঙ্গে বলেন---প্রাউট প্রবক্তা তাঁর সামাজিক অর্থনৈতিক দর্শনে সদ্‌বিপ্র নেতৃত্বের কথা বলেছেন৷ অর্থাৎ রাষ্ট্রের পরিচালকদের কঠোরভাবে নীতিপরায়ণ, সৎ চরিত্রের ও নিঃস্বার্থ জনসেবার মানসিকতা থাকতেই হবে৷ প্রাউটের পরিভাষায় সদ্‌বিপ্র তাকেই বলা হয় যিনি দৈহিক শক্তিতে বলীয়ান হবে, দৃঢ় মানসিকতা ও আধ্যাত্মিকতায় প্রতিষ্ঠিত হবে৷ তাই সদ্‌বিপ্ররা কখনও কোনও অবস্থাতেই নীতিবাদ থেকে বিচ্যুত হবে না৷ কোন প্রলোভনের কাছে মাথা নত করবে না৷ সমাজের সমস্ত রকম অবিচার শোষণ ও দমন পীড়ণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে৷ বর্তমান পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত আর্থিক ব্যবস্থায় দুর্নীতিগ্রস্তরাই নেতৃত্বে আসবে৷